সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২৫ জুন, ১৯৭৫। দেশব্যাপী জারি হয়েছিল ‘জরুরি অবস্থা’ (1975 Emergency)। গণতন্ত্রের ইতিহাসে যা ছিল এক কালো অধ্যায়। শুক্রবার জরুরি অবস্থার ৪৬তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) জানিয়ে দিলেন জরুরি অবস্থার অন্ধকার দিনগুলিকে ভোলা কখনওই সম্ভব নয়। সাড়ে চার দশক আগের সেই সময়ের প্রসঙ্গ তুলে টুইটারে কংগ্রেসকে বিঁধলেন তিনি।
ঠিক কী লিখেছেন তিনি? প্রধানমন্ত্রী তাঁর ক্ষোভ উগরে দিয়ে লেখেন, ‘‘জরুরি অবস্থার সময়ের সেই অন্ধকার দিনগুলিকে কখনওই ভোলা সম্ভব নয়। ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ সাল প্রতিষ্ঠানের পদ্ধতিগত ধ্বংসলীলার সাক্ষী থেকেছে। আসুন সম্ভাব্য সমস্ত উপায়ে ভারতের গণতান্ত্রিক চেতনাকে মজবুত করার অঙ্গীকার করি। এবং সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত মূল্যবোধগুলি মেনে চলি।’’
এই টুইটের পরে আরও একটি টুইট করেন তিনি। সেই পোস্টে তিনি কংগ্রেসকে সরাসরি আক্রমণ করে লেখেন, ‘‘এই ভাবেই কংগ্রেস আমাদের গণতান্ত্রিক নীতিকে পদদলিত করেছিল। সেই সমস্ত মহান মানুষদের আমরা স্মরণ করি যাঁরা জরুরি অবস্থার বিরোধিতা করে ভারতীয় গণতন্ত্রকে রক্ষা করেছিলেন।’’
[আরও পড়ুন: মাস্টারস্ট্রোক! কাশ্মীর ইস্যুতে সর্বদল ডেকে একসঙ্গে একাধিক লক্ষ্যভেদ প্রধানমন্ত্রীর]
উল্লেখ্য, আজ থেকে ৪৬ বছর আগে আজকের দিনেই দেশে জরুরি অবস্থার ঘোষণা করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী (Indira Gandhi)। সেই সময় নির্বাচনে অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে এলাহাবাদ হাইকোর্ট তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। এবং ছয় বছরের জন্য তাঁকে সংসদ থেকে বহিষ্কার করেছিল। এরপরই জরুরি অবস্থার ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। সাংবিধানিক অধিকার এবং নাগরিক স্বাধীনতা স্থগিত হয়েছিল। সংবাদমাধ্যমকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা শুরু হয়। ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত বহু বিরোধী নেতাই কারাগারে বন্দি ছিলেন।
বিজেপি (BJP) বরাবরই জরুরি অবস্থার বর্ষপূর্তির দিনগুলিকে ‘কালো দিন’ হিসেবে পালন করে এসেছে। এবং প্রতিবারই আক্রমণ করেছে কংগ্রেসকে। প্রসঙ্গত, গত মার্চে কংগ্রেস নেতা ও ইন্দিরা গান্ধীর নাতি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) স্বীকার করে নেন জরুরি অবস্থার সিদ্ধান্ত ‘ভুল’ ছিল। কিন্তু কংগ্রেস কোনও ভাবেই দেশের সংবিধানিক পরিকাঠামাকো ধ্বংস করতে চাননি বলেই দাবি করেন তিনি। তাঁর মতে, ‘‘কংগ্রেসের সেই ক্ষমতাই ছিল না।’’ তাঁর এহেন মন্তব্যকে কেন্দ্র করেও সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছিল গেরুয়া শিবিরকে।