সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত পাঁচ বছরে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুকে নেহাত কম গালমন্দ করেননি বিজেপি নেতারা। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নেহেরুকে একাধিক ইস্যুতে কাঠগড়ায় তুলেছেন। বাদ যায়নি প্রথম প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যরাও। অথচ, এবার সেই নেহেরুর ঐতিহ্যকেই দখল করতে চাইছে বিজেপি। অন্তত, কংগ্রেস নেতাদের তেমনটাই দাবি।
বিতর্কের সূত্রপাত কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের একটি বিবৃতিকে ঘিরে। গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার একটি বিবৃতি দিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক নেহেরু মেমোরিয়াল এবং লাইব্রেরি সোসাইটি পুনর্গঠনের কথা ঘোষণা করে। এই সোসাইটির সদস্যপদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তিন কংগ্রেস নেতাকে। এই বিবৃতি দেওয়ার আগে পর্যন্ত নেহেরু মেমোরিয়াল এবং লাইব্রেরি সোসাইটির সদস্য ছিলেন কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে, জয়রাম রমেশ এবং করণ সিং। মঙ্গলবার এই সোসাইটি থেকে তাদের সরিয়ে দিয়ে সাংবাদিক রজত শর্মা, গীতিকার প্রসূন যোশী, বিজেপি ঘনিষ্ঠ লেখক অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়দের ঠাঁই দেওয়া হয়েছে। সাংবাদিক অর্ণব গোস্বামী আগে থেকেই এই সোসাইটির সদস্য।
[আরও পড়ুন: প্রশাসন চাইলেই আড়ি পাততে পারবে ফোনে! প্রস্তাবে ছাড়পত্র রাষ্ট্রপতির]
নেহেরু মেমোরিয়াল এবং লাইব্রেরি সোসাইটির নতুন কমিটির সভাপতি খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সহ-সভাপতি পদে আছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, সচ্চিদানন্দ যোশী, লোকেশ চন্দ্র, মকরন্দ প্রাণজপে, কিশোর মাকওয়ানা, কমলেশ যোশীপুরা, রিজওয়ান কাদরি ও অন্যান্যরা। মজার কথা হল, বর্তমানের নেহেরু সোসাইটিতে কংগ্রেসের সক্রিয় নেতা বা কংগ্রেসপন্থী কোনও নেতাই নেই।
[আরও পড়ুন: বাংলা বললে মিলবে না চাকরি, অঘোষিত নিয়ম বেঙ্গালুরুর আবাসনগুলিতে! ]
সরকারের এই নির্দেশিকায় চরম ক্ষুব্ধ কংগ্রেস। মল্লিকার্জুন খাড়গে, অশোক গেহলেটর মতো নেতারা ইতিমধ্যেই এই ইস্যুতে সরব হয়েছেন। তাদের দাবি, সরকার সবকিছুর মধ্যে রাজনীতি দেখছে। এভাবে নেহেরুর পরম্পরা কংগ্রেসের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া যাবে না।