shono
Advertisement

Breaking News

খাবারে ভেজাল মেশালে এবার চরম শাস্তি

নজর রাস্তার ধারের চাউমিন-সহ যাবতীয় ফাস্ট ফুডের উপর৷ The post খাবারে ভেজাল মেশালে এবার চরম শাস্তি appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 04:34 PM Jan 19, 2017Updated: 11:04 AM Jan 19, 2017

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বাধীনতার আগে জওহরলাল নেহরু একবার বলেছিলেন, কালোবাজারিদের ল্যাম্পপোস্টে ঝোলানো উচিত৷ কিন্তু স্বাধীনতার পর প্রথম প্রধানমন্ত্রী তেমনটি করতে পারেননি আইনের অনুশাসন প্রতিষ্ঠা ও তার উপর জনগণের আস্থা স্থাপনের জন্যই৷ কিন্তু মানুষের জীবন-মরণের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়টিতে একটি কঠোর আইনের জন্য সত্তর বছর অপেক্ষা করতে হল৷ এবার ভেজাল খাদ্য উৎপাদন ও বিক্রিতে শাস্তি আরও কঠোর হচ্ছে৷ হতে পারে যাবজ্জীবন কারাবাস এবং কয়েক লক্ষ টাকা জরিমানা৷

Advertisement

বর্তমানে এই ধরনের অভিযোগের ক্ষেত্রে ছ’মাস পর্যন্ত কারাবাস ও এক হাজার টাকা আর্থিক জরিমানার সংস্থান রয়েছে আইনে৷ তবে ভারতীয় দণ্ডবিধির সংশ্লিষ্ট ধারা সংশোধনের জন্য সুপারিশ করল ল’ কমিশন৷ সেখানেই এমন কঠোর শাস্তি ও জরিমানার কথা বলা হয়েছে৷ খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধ আইন ও ভারতীয় দণ্ডবিধির মধ্যে সামঞ্জস্য করার চেষ্টা হয়েছে নতুন সংশোধনীতে৷

(বান্দিপোরায় জঙ্গি ঘাঁটি ঘিরে ফেলে গুলি, নিকেশ লস্কর জঙ্গি মুসা)

কমিশনের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, আইন সংশোধন হলে খাদ্যে ভেজালের অভিযোগে গ্রেফতারের ঘটনা বাড়বে৷ বর্তমানে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৭২ ও ২৭৩ ধারায় ‘ভেজাল খাদ্য ও পানীয় বিক্রির চেষ্টা’ এবং ‘অস্বাস্থ্যকর খাদ্য ও পানীয় বিক্রি’, উভয় ক্ষেত্রেই সর্বাধিক ছ’মাস পর্যন্ত জেল এবং এক হাজার টাকা জরিমানার কথা বলা হয়েছে৷ অথচ, ১৯৫৪ সালের খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধ আইনে এর থেকে কম অপরাধের ক্ষেত্রে অনেক বেশি কঠোর শাস্তির কথা বলা হয়েছে৷ সেই প্রভেদ-পার্থক্য দূর করতেই আইন সংশোধনের প্রয়োজন বলে মনে করছে ল’কমিশন৷

আটের দশকে কলকাতায় ভেজাল তেল কাণ্ড থেকে শুরু করে হালফিলের নুডলস-আতংক৷ সাধারণ মানুষকে নাড়া দিয়েছে বারবার৷ কিন্তু আইন কঠোর না হওয়ার কারণে কালোবাজারিদের বাগে আনা যায়নি৷ বিপদ রয়েই গিয়েছে সাধারণের৷ অতি সম্প্রতি খাদ্যে ভেজাল ও মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক ব্যবহারের বেশ কিছু অভিযোগ সামনে আসে৷ সেই সঙ্গে খাদ্য ও পানীয়র গুণমান নিয়েও প্রশ্ন দেখা দেয়৷ বিষয়টি যেহেতু সব শ্রেণির মানুষের স্বাস্থ্য জীবনের সঙ্গে সরাসরি সংশ্লিষ্ট, তাই সরকার থেকে শুরু করে দেশের শীর্ষ আদালত গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে৷ আর তখন থেকেই আইন কঠোর করার ব্যাপারে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি উঠতে শুরু করে৷

(তৈরি থাকুন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আপনার বাড়িতেও আয়কর হানা!)

কয়েক দশক আগেই পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ এবং ওড়িশা এই সংক্রান্ত আইনে সংশোধন করেছে৷ এই সব রাজ্যে শাস্তি ও জরিমানা বৃদ্ধি হয়েছে৷ যদিও রাজ্যের আইনে অভিযুক্তের শাস্তি বিধানের অধিকার অনেকটাই ছাড়া হয়েছে আদালতের উপর৷ বিশেষ ক্ষেত্রে আদালত অভিযুক্তের যাবজ্জীবনের কম কারাদণ্ড দিতে পারে৷ রাজ্যেরও এই ক্ষেত্রে আইন পরিবর্তনের ক্ষমতা রয়েছে৷ কারণ, সংবিধান অনুসারে খাদ রয়েছে যৌথ তালিকায়৷ অর্থাৎ, উভয়ই খাদ্য-বিষয়ক আইন কার্যকর করতে পারে৷

গতমাসেই ল’কমিশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে আইন সংশোধনের ব্যাপারে সুপারিশের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়৷ জানা গিয়েছে, একটি সময়োপযোগী আইনের জন্য ল’কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট৷ এরপরই আইন সংশোধনের খসড়া তৈরি করার কাজে হাত দেয় কমিশন৷ সেই বৈঠকে কেন্দ্রীয় আইন সচিব সুরেশ চন্দ্রও উপস্থিত ছিলেন৷ তিনি সেখানে এই বিষয়ে সরকারের মতামত তুলে ধরেন৷ এরপর সরকার সংসদে সংশোধনী পাস করানোর পর তা সারা দেশে কার্যকর হবে৷

(‘ভাঙড়ে পাওয়ার গ্রিডের পিছনে কয়েকজন তৃণমূল নেতার ব্যক্তিগত স্বার্থ’)

The post খাবারে ভেজাল মেশালে এবার চরম শাস্তি appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement