সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুম্বইয়ে থাকলেও আদতে আদ্যপান্ত বাঙালি ছিলেন। আর তাই তো কেরিয়ারের শুরুতে বিজ্ঞাপন হোক বা সিনেমা সবেতেই বাঙালি ছাপ রাখতেই পছন্দ করতেন পরিচালক প্রদীপ সরকার। এমনকী, বাঙালি হওয়ার কারণেই পরিচালক হিসেবে প্রথম ছবি তৈরির সময় গল্প ধার নিলেন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্য়ায় থেকে। পর্দায় নিয়ে আসলেন ‘পরিণীতা’। বাঙালি ধাঁচে সাজানো এই বলিউড ছবি মন ভরালো দর্শকদের। বাঙালি বেশে বিদ্য়া বালান, সইফ আলি খান, সঞ্জয় দত্তরা নজর কাড়লেন।
এক সাক্ষাৎকারে বিদ্যা বালান বলেছিলেন, ‘পরিণীতা’ ছবিতে নাকি বিদ্য়াকে নিতেই চাননি প্রযোজক বিধু বিনোদ চোপড়া। বিধুকে রাজি করানোর জন্য বিদ্য়াকে নিজে হাতে সাজিয়ে পরিণীতার জন্য তৈরি করেছিলেন প্রদীপ সরকার নিজেই। তাঁর এই বন্ধুত্বপূর্ণ ইমেজই অন্যান্য বলিউড পরিচালকদের থেকে আলাদা করে।
বিজ্ঞাপন জগত থেকেই কেরিয়ার শুরু করেন প্রদীপ সরকার। তারপর পরিচালক বিধু বিনোদ চোপড়ার সঙ্গে জুটি বেঁধে বলিউডে পা। বিধু বিনোদ চোপড়ার প্রোডাকশনে তৈরি পরিণীতিই তাঁর প্রথম পরিচালিত ছবি। যে ছবি দিয়ে বিদ্য়া বালান বলিউডে কেরিয়ার শুরু করেন। প্রথম ছবিতেই পরিচালক হিসেবে নজর কেড়েছিলেন প্রদীপ সরকার। এরপর রানি মুখোপাধ্য়ায়, কঙ্কনা সেনশর্মা ও অভিষেক বচ্চনকে নিয়ে তৈরি করেন ‘লাগা চুনরি মে দাগ’। ছবিটি বক্স অফিসে সফল না হলেও, প্রশংসা কুড়িয়েছিল। তারপর ‘লফঙ্গে পরিন্দে’, ‘মরদানি’, ‘হেলিকপ্টার এলা’র মতো ছবি দর্শকদের উপহার দেন প্রদীপ সরকার। কাজল ও ঋদ্ধি সেন অভিনীত ‘হেলিকপ্টার এলা’ই তাঁর শেষ পরিচালিত ছবি।
[আরও পড়ুন: প্রয়াত বলিউডের জনপ্রিয় পরিচালক প্রদীপ সরকার]
তবে শুধু সিনেমা বা বিজ্ঞাপন নয়। নয়ের দশকে একের পর এক ভিডিও অ্য়ালবামের পরিচালনা করেছেন তিনি। গায়ক পলাশ সেনের ইউফোরিয়ার জনপ্রিয় গান ধুম পিচক ধুম, মাইরি, সুলতান খানের পিয়া বসন্তি, শুভা মুদগলের অব কে শাওয়ান এবং ভূপেন হাজারিকার গঙ্গার ভিডিও পরিচালনা করে প্রশংসা কুড়িয়ে নিয়েছিলেন প্রদীপ সরকার।
কঙ্গনাকে নিয়ে ‘নটী বিনোদিনী’র বায়োপিক তৈরি করার কথা ছিল তাঁর। তবে সে স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেল পরিচালকের।