দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: একুশেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে একের পর শাসকশিবিরের নেতা-কর্মীরা দলের বিরদ্ধে সরব হচ্ছেন। তবে অভাব-অভিযোগ মিটিয়ে সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে ভোটের বৈতরণী পার করার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে লড়ার বার্তা দিচ্ছেন তিনি। এই পরিস্থিতি সম্পূর্ণ উলটো আচরণ দেখা গেল কর্মীদের মধ্যে। তারকেশ্বরে তৃণমূলের সভায় ডাক পেলেন না খোদ বিধায়ক। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই অত্যন্ত ক্ষু্ব্ধ হয়েছেন তিনি।
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষ্যে রবিবার তারকেশ্বর বিধানসভার তারকেশ্বর নতুন বাসস্ট্যান্ডে তৃণমূলের তরফে একটি জনসভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে ডাক না পাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিধায়ক রচপাল সিং (Rachpal Singh)। নিজের বিধানসভা এলাকায় জনসভায় আমন্ত্রণ না পাওয়ার বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বকে জানাবেন বলে জানিয়েছেন বিধায়ক। তাঁর কথায়, “আমি প্রায় ১০ বছরের বিধায়ক। দীর্ঘদিন ধরেই সততা ও যোগ্যতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। আজকের ঘটনায় অত্যন্ত অপমানিত হয়েছি। এমনটা কোনওদিন হয়নি। কখনও আসাও করিনি।” তিনি জানান, এই জনসভায় কে বা কারা আসবেন, কীভাবে গোটা অনুষ্ঠানের আয়োজন হবে সে বিষয়েও কেউ কথা বলেনি তাঁর সঙ্গে।
[আরও পড়ুন: ‘লিফটে উঠলে আমিও ৩৫টা পদের অধিকারী হতাম’, নাম না করে শুভেন্দুকে কটাক্ষ অভিষেকের]
এর নেপথ্যেও কি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব? বিধায়কের কথায়, তিনি গোষ্ঠী মানেন না। দলের যেই ডাকুন না কেন তিনি সেখানে যান। আজকের এই ঘটনা তার কাছে রীতিমতো দুঃখজনক। এই বিষয়ে মুখ খোলেননি জেলার অধিকাংশ তৃণমূল নেতা। তবে হুগলি জে্লা তৃণমূলের সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, “সমস্যার কথা শুনেছি। দ্রুত এই বিষয়ে সকলের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করব।”