সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রণতরী আইএনএস বিরাট (INS Viraat) কি তবে ধ্বংসের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে? সুপ্রিম কোর্টের এক মন্তব্যে এমনই জল্পনা ফের ভেসে উঠল আজ সোমবার। এর আগে অবসরপ্রাপ্ত রণতরী আইএনএস বিরাটের ধ্বংস করার প্রক্রিয়ায় স্তগিতাদেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু আজ প্রধান বিচারপতি শরদ এ বোবদের (SA Bobde) মন্তব্যে ফের সেই সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
প্রধান বিচারপতি বোবদে এ প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন, “এই রণতরী এখন ব্যক্তিগত সম্পত্তি এবং এর ৪০ শতাংশ ইতিমধ্যেই ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।” এক সপ্তাহ পর ফের এই মামলার শুনানি।
১৯৫৯ সালে ব্রিটিশ নৌ বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত করা হয় এই রণতরীকে। সেখানে তার নাম ছিল ‘এইচএমএস হারমেস’। ১৯৮৪ সালে রয়্যাল নেভি থেকে অবসর দেওয়া হয়। তার পর ১৯৮৭ সালে ভারতকে বিক্রি করা হয় এই রণতরী। সে বছর ১২ মে ভারতীয় নৌ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্তির পর নাম রাখা হয় আইএনএস বিরাট।
[আরও পড়ুন: ‘গোয়েন্দা ব্যর্থতা ছিল না’, বিজাপুরে মাওবাদী হামলা নিয়ে দাবি CRPF প্রধানের]
প্রায় ৩০ বছর ভারতীয় নৌ বাহিনীতে ছিল আইএনস বিরাট। ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধের সময় ভারতীয় জলসীমা থেকেই পাকিস্তানের উপর নজর রাখে। ২০১৭ সালে ভারতীয় নৌ বাহিনী থেকে অবসর নেয় বিশ্বের সব থেকে পুরনো বিমানবাহী রণতরীটি। তার আগেই অবশ্য ২০১৩ সালে নৌ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্তি হয় ‘আইএনএস বিক্রমাদিত্য’-র।
আইএনএস বিরাট পরে কিনে নেয় মুম্বইয়ের একটি কোম্পানি। তারা এর ধাতু গলিয়ে অন্য কাজে ব্যবহারের পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু তার বিরুদ্ধে আবেদন জমা পড়ে। মামলা পৌঁছয় সুপ্রিম কোর্টে। এমনকি এটিকে একটি জাদুঘরে রূপান্তরের পরিকল্পনার কথাও বলা হয়। তবে তা বাস্তবায়িত হয়নি নানা কারণে। গত ১০ ফেব্রুয়ারি আইএনএস বিরাটের ধ্বংসের উপর স্থগিতাদেশ দেয় শীর্ষ আদালত। সেই মামলায় এবার প্রধান বিচারপতির মামলা অন্য মাত্রা যোগ করল। এখন দেখার পরের সপ্তাহে এই মামলায় কী পর্যবেক্ষণ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।