সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শনিবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পেশ করে আলজেরিয়া। কিন্তু ভেটো প্রয়োগ করে তা আটকে দেয় আমেরিকা। এর পিছনে ওয়াশিংটনের যুক্তি ছিল, আলজেরিয়ার পেশ করা খসড়ায় হামাসের হাত থেকে পণবন্দিদের মুক্তির কোনও উল্লেখ নেই। এনিয়ে তৃতীয়বার ভেটো প্রয়োগ করল বাইডেন প্রশাসন। তবে এখন রাফা সীমান্তেও তীব্র আক্রমণ শুরু করেছে ইজরায়েল। এই রাফা শহরই বিধ্বস্ত প্যালেস্তিনীয়দের শেষ আশ্রয়। যুদ্ধ, অনাহার, রোগ-ব্যাধিতে ধুঁকছে শহরটি। রাফার এই করুণ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন আমেরিকারও।
রয়টার্স সূত্রে খবর, এই প্রথম রাফার পরিস্থিতির কারণে রাষ্ট্রসংঘে ইজরায়েল-হামাস সংঘাতে সাময়িক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পেশ করেছে ‘উদ্বিগ্ন’ আমেরিকা। খসড়াটিতে হামাসের ডেরা থেকে ইজরায়েলি পণবন্দিদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে। মানবিক সহায়তা জারি রাখার পাশাপাশি সাময়িকভাবে যুদ্ধবিরতির আহ্বানও জানানো হয়েছে। এমনকী, রাফায় ইজরায়েলি বাহিনীর হামলার বিরোধিতাও করা হয়েছে। যার ফলে চাপ বাড়ছে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর উপর।
[আরও পড়ুন: ইউক্রেনকে ৫১ ডলার আর্থিক সাহায্য! রাশিয়ায় গ্রেপ্তার আমেরিকান নৃত্যশিল্পী]
উল্লেখ্য, চার মাস পেরিয়ে গেলেও হামাস নিধনে এখনও গাজায় আক্রমণ শানাচ্ছে ইজরায়েল। জারি রয়েছে মৃত্যুমিছিল। যা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে নিন্দার মুখে পড়েছে তেল আভিভ। একাধিক বার রাষ্ট্রসংঘে আনা হয়েছে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব। কিন্তু প্রতিবার তা নাকচ করে দিয়েছে নেতানিয়াহু সরকার। এবার হামলা শুরু হয়েছে মিশর সীমান্তবর্তী শহর রাফাতেও। ফলে বিপন্ন প্রায় ১৪ লক্ষ মানুষ। যা নিয়ে সাময়িক যুদ্ধে বন্ধের প্রস্তাব দিল আমেরিকা।
বলে রাখা ভালো, কয়েকদিন আগে ঘুমের মধ্যেই ৩৭ প্যালেস্তিনীয়র প্রাণ কেড়েছিল ইজরায়েলি বোমা। আইডিএফ যখন হামলা চালায় তখন ঘুমিয়ে ছিলেন সকলেই। রাফায় ইজরায়েলি সেনার অভিযান নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে বিশেষ অনুরোধ করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বলেছিলেন, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার ব্যবস্থা না করে রাফায় যেন ইজরায়েল হামলা না চালায়। কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় রাফা আসলে আমজনতার শেষ আশ্রয়। সেখানে হামলার আগে নাগরিকদের সুরক্ষিত রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।