shono
Advertisement

পুজোর মুখে নদীবাঁধ ভেঙে প্লাবিত কুলপির গ্রাম, আশঙ্কার প্রহর গুনছেন স্থানীয়রা

কতক্ষণে শুরু হবে মেরামতি? অপেক্ষায় গ্রামবাসীরা।
Posted: 01:34 PM Oct 16, 2020Updated: 01:34 PM Oct 16, 2020

সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: পুজোর মুখেই নদীর বাঁধ ভেঙে বিপত্তি। প্লাবিত দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কুলপি ব্লকের হাঁড়া-মুকুন্দপুর গ্রাম। স্বাভাবিকভাবেই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে এলাকার বাসিন্দাদের। রাতে জোয়ার এলে এলাকা আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা।

Advertisement

জানা গিয়েছে, শুক্রবার ভোর পাঁচটা নাগাদ হঠাৎই হাঁড়ারঘাট এলাকায় ধস নামে। মুহূর্তেই হুগলি নদীর জলের তোড়ে পঞ্চাশ ফুটেরও বেশি কংক্রিটের বাঁধ নদীগর্ভে তলিয়ে যায়। হু-হু করে জল ঢুকতে শুরু করে গ্রামে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। নদীর নোনাজল ঢুকে প্লাবিত হয় কৃষিজমি এবং পুকুর। স্থানীয় বাসিন্দা খোকন মাইতির আশঙ্কা, রাতের জোয়ারে জল আরও বাড়বে। প্রতিনিয়ত জাহাজ চলাচল করায় নদীর ঢেউয়ের ধাক্কায় আরও বেশ কিছু এলাকা জুড়ে ধস নামতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। এভাবে নাগাড়ে জল ঢুকতে থাকলে ভাসবে বাড়িঘর, অনুর্বর হয়ে যাবে ধানের জমি, মরবে পুকুরের মাছ। শুধু তাই নয়, আশেপাশের কয়েকটি গ্রামও নদীর জলে প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল বলেই মনে করছেন গ্রামবাসীরা।

[আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোর আনন্দ মাটি করতে পারে বৃষ্টি? জেনে নিন হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস]

মূলত: ডায়মন্ড হারবারের মায়া রোড থেকে কুলপির রাধানগর যেতে সাত-আটটি গ্রামের মানুষ ব্যবহার করতেন ওই বাঁধ। এদিন সকালে সেই রাস্তার মাঝামাঝি অংশই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হয় প্রশাসনকে। সেচদপ্তরের আধিকারিকরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও দুপুর পর্যন্ত বাঁধ মেরামতিতে প্রশাসনিক কোনও তৎপরতা চোখে পড়েনি। রাতের জোয়ারে আরও ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করে এখন আতঙ্কে প্রহর গুনছেন এলাকাবাসী। সেচদপ্তর অবশ্য জানিয়েছে, জরুরি ভিত্তিতে ওই বাঁধ মেরামতির চেষ্টা চলছে। তবে কতক্ষণে কাজ শুরু হবে, তা নিয়ে সন্দিহান স্থানীয়রা। পুজোর মুখে নতুন বিপদে ঘুম উড়েছে গ্রামবাসীদের।

[আরও পড়ুন: ‘বিজেপি বিধায়ককে তৃণমূলে যোগ দিতে চাপ দিচ্ছেন পুলিশ সুপার’, ফের বিস্ফোরক সায়ন্তন]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement