সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মা আসছে। বৃষ্টির ফাঁকেই আকাশে নীলে সাদা ধবধবে মেঘেদের আনমনা চলন। জোরকদমে চলছে মণ্ডপ তৈরির কাজ। পিছিয়ে নেই সল্টলেক আইডি ব্লকও। এবার এখানে এলে দর্শকরা মুহূর্তে পেরিয়ে যাবেন আড়াই দশক! পৌঁছে যাবেন ২০৫০ সালের কলকাতায়। দেখা মিলবে ঘূর্ণায়মাণ মণ্ডপের। এমন মণ্ডপ সম্ভবত এই প্রথম। স্বাভাবিক ভাবেই আগ্রহের পারদ চড়ছে।
কল্পবিজ্ঞানের ছবি এবং গল্প-উপন্যাসে ফিউচারিস্টিক পৃথিবীর দেখা মেলে আকছার। বহু সময়ই যা দেখে হাঁ হয়ে যেতে হয়। এবার তেমনই এক ভবিষ্যতের ছবিকে সামনে রেখেই পুজোর পরিকল্পনা করেছে আইডি ব্লক। মূল পরিকল্পনা বিধাননগর ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের পৌরপিতা রঞ্জন পোদ্দারের। যাকে রূপদান করছেন প্রশান্ত পাল। মহম্মদ আলি পার্কের পুজোয় 'বাহুবলী' করে যিনি প্রবল খ্যাতি পেয়েছিলেন। এবার একদম নতুন এক থিমকে গড়ে তুলতে চাইছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: অবসরের পরে রায়দান? সুপ্রিম নজরে হাই কোর্টের বিচারপতি]
দর্শনার্থীদের জন্য সবচেয়ে বড় চমক কী থাকতে চলেছে? উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন, এই প্রথম কলকাতায় দেখা যাবে ঘূর্ণায়মাণ মণ্ডপ। মূল প্যাণ্ডেল ১০৭ ফুট উচ্চতার। ৮০ ফুটের উপর থেকে সেটি ঘুরবে। পাশাপাশি দেখা মিলবে এয়ার ট্যাক্সি, এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সেরও। কলকাতায় দুরন্ত গতির বুলেট ট্রেন চলারও সাক্ষী হবেন দর্শনার্থীরা। নিঃসন্দেহে ছোটদের তো বটেই, বড়দেরও তাক লাগবে। আশা পুজো কমিটির। তবে প্রতিমার মুখ হবে সাবেকি। মিলবে চিরন্তন মাতৃমুখের দর্শন।
এবার সল্টলেক আইডি ব্লকের পুজোর ৩৮তম বর্ষ। ১৯৮৭ সাল থেকে পুজো হচ্ছে। যদিও তিন বছর পুজো হত একজনের বাড়িতে। ১৯৯০ সাল থেকে মাঠে শুরু হয় পুজো। এর পর থেকে সেখানেই হয়ে আসছে। বহু বছর ধরেই সল্ট লেক অঞ্চলের এই পুজো নানা নতুন চমক দিয়ে আসছে। কিন্তু এবারের চমকটি অভূতপূর্ব। পজিটিভ একটা মন নিয়ে বদলে যাওয়া কলকাতার আগামিদিনের ছবি দেখাতে চাইছেন উদ্যোক্তারা। চাইছেন সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাওয়ার ছবিটি এঁকে রাখতে। ভবিষ্যতের সেই কল্লোলিনী তিলোত্তমার রূপ দর্শকদের মুগ্ধ করবেই, এই নিয়ে আত্মবিশ্বাসী তাঁরা।