সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হোটেল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি তথা নিয়ম ভঙ্গেই বলি হয়েছেন ৬ জন মানুষ! লখনউয়ের (Lucknow) হোটেলের বিধ্বংসী আগুনে গুরুতর আহত ১০ জন। তাঁদের হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। সোমবার ভোরে লখনউয়ের হজরতগঞ্জ এলাকার অভিজাত হোটেল ‘লেভানা’ তছনছ হয়ে যায় আগুনে। কালো ধোঁয়া গ্রাস করে ওই হোটেল-সহ গোটা এলাকাকে। যদিও ধোঁয়া দেখা মাত্র হোটেল ছাড়েন আবাসিকদের একাংশ। কিন্তু সেখানে আটকেও পড়েন বেশ কয়েকজন। হোটেলে আপৎকালীন দরজা না থাকাতেই তাঁরা আটকে পড়েন বলে মনে করা হচ্ছে।
সকালে স্থানীয়রাই দমকলে খবর দেন। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে হাজির হন দমকল কর্মীরা। আসে অন্য উদ্ধারকারী দল। আগুন নেভাবার চেষ্টার পাশাপাশি আটকে থাকা আবাসিকদের উদ্ধারের কাজ শুরু হয়। মই ব্যবহার করে হোটেলের জানলার কাচ ভেঙে কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়। যদিও ৬ জন আবাসিকের ঝলসে মৃত্যু হয়। ১০ জন গুরুতর আহতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতির ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যাওয়ায় অক্সিজেন মাস্ক পরে হোটেলের ভিতরে ঢোকেন উদ্ধারকারীরা।
[আরও পড়ুন: অগ্নিপরীক্ষায় জয় হেমন্ত সোরেন সরকারের, ঝাড়খণ্ডে আস্থা ভোটে হার মানল বিজেপি]
লখনউ প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট ১৫ জন আটকে পড়া আবাসিককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এদের মধ্য দু’জন উদ্ধারের সময়ই অজ্ঞান হয়ে পড়েন। ১০ জন আহতকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্র জানা গিয়েছে, ওই হোটেলে কোনও এমার্জেন্সি এক্সিট আপৎকালীন দরজা ছিল না। এমনকী রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রগুলিও ছিল সম্পূর্ণ অকেজো। দিন দুই আগে বিভিন্ন কারণে লখনউ ডেভলপমেন্ট অথরিটি নোটিস পাঠিয়েছিল এই হোটেলটিকে। এরপর এই ভয়ংকর কাণ্ড ঘটে গেল।
[আরও পড়ুন: মাকে খুন করে আত্মঘাতী অবসাদগ্রস্ত যুবক, ৭৭ পাতার সুইসাইড নোটে স্বীকারোক্তি!]
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (CM Yogi Adityanath)। প্রশাসনের উদ্দেশে তাঁর বার্তা দেন, দুর্ঘটনায় আহতদের জন্য যেন উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। জেলা প্রশাসনের সমস্ত আধিকারিকদের ঘটনাস্থলে পৌঁছে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন তিনি। ঘটনার খবর নিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে্ন তিনি।