নব্যেন্দু হাজরা: দিন দিন বাড়ছে ট্রেনের সংখ্যা। বাড়ছে যাত্রীচাপও। কিন্তু ট্রেন থেকে নেমে যাত্রীরা কীভাবে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছবেন, তা বুঝে উঠতে পারেন না কেউ। কারণ, কাছাকাছি নেই কোনও বাসস্ট্যান্ড। ভারী ব্যাগ নিয়ে তাঁদের হেঁটে অনেকটা আসতে হয়। বিশেষত দূরপাল্লার বাসের যাত্রীদের। তারপর মেলে বাস। কলকাতা স্টেশনে (Kolkata Station) এই দুর্ভোগ নতুন কিছু নয়, দীর্ঘদিনের। তাই যাত্রী সুবিধার্থে এবার কলকাতা স্টেশন চত্বরে আধুনিক সুযোগসুবিধা যুক্ত বাস টার্মিনাস তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। চিহ্নিত করা হয়েছে জায়গাও। প্রায় আট হাজার বর্গ ফুট এলাকায় তৈরি করা হতে পারে এই স্ট্যান্ড। যেখানে ৪৫টির মতো বাস দাঁড়াতে পারবে। তবে সেখানে সব দূরপাল্লার বাস দাঁড়াবে নাকি, শহর-শহরতলির মধ্যে চলা বাসও দাঁড়াবে তা এখনও ঠিক হয়নি।
রেল সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বাস মালিকদের নিয়ে শিয়ালদহ ডিভিশনের রেলের আধিকারিকরা এলাকা পরিদর্শনে যান। সেখানে স্টেশন থেকে বেরনোর পথে মূল রাস্তার ধারে জায়গা চিহ্নিত হয়েছে। ওই অংশের মাটির তলা দিয়ে কোনও জলের লাইন বা উপর দিয়েও বিদ্যুতের তার যায়নি। ফলে ওই এলাকায় বাস স্ট্যান্ড বা টার্মিনাস হলে কোনও সমস্যা নেই। তবে প্রাথমিকভাবে ওই স্থান চিহ্নিত হলেও এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। কলকাতা স্টেশন থেকে অনেকটা হেঁটে আসলে দেখা যায় খালপাড়ের ধারে উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার দূরপাল্লার বাস দাঁড়িয়ে থাকে। সেখানে এসেই যাত্রীদের বাসে উঠে যেতে হয় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে।
[আরও পড়ুন: শেন ওয়ার্নের টাওয়েল ও বালিশে মিলেছে রক্তের দাগ, সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য!]
একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন মাঝরাতেও স্টেশনে এসে দাঁড়ায়, তা থেকে নেমে যাত্রীদের অনেকটা হেঁটে আর জি করের সামনে থেকে বাস ধরতে হয়। কলকাতা স্টেশনের কাছে কে ওয়ান বাসস্ট্যান্ড একটা ছিল। তবে সেটি নামেই, না আছে সেখানে কোনও টয়লেট, না আছে যাত্রীদের দাঁড়ানোর শেড। তাই সব মিলিয়ে স্টেশন চত্বরের চেহারা কিছুটা বদলাতেই এখানে একটি বাস টার্মিনাস (Bus Terminus) বানানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।
শিয়ালদহ ডিভিশনের রেলের এক আধিকারিক জানান, পরিবহণ দপ্তরের তরফে এবিষয়ে পূর্ব রেলের কাছে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। জমি যেহেতু রেলের তাই রেলকেই সম্মতি দিতে হবে আগে। অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমরা অনেকদিন আগেই কলকাতা স্টেশন চত্বরে বাস টার্মিনাসের আবেদন জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলাম পরিবহণ দপ্তরে। তারপর রেলকেও জানাই। রেলের তরফে বিষয়টি নিয়ে আমাদের আলোচনায় ডাকা হয়েছিল বৃহস্পতিবার।”