সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৪ বছর আগে একই দিনে নজর ছিল ব্রাজিলে। স্পেনের বিরুদ্ধে একটি গোল করে গোটা বিশ্বের নজর ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন নেদারল্যান্ডের স্ট্রাইকার রবিন ভান পার্সি। স্পেনের বিরুদ্ধে ভান পার্সির সেই ‘ফ্লাইং হেডার’ গণ্য হয়েছিল ব্রাজিল বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা গোল হিসেবে, সর্বকালের সেরা গোলগুলির তালিকাতেও স্থান করে নিয়েছিল নেদারল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়কের সেই অবিশ্বাস্য গোল। উন্মাদনায় কেঁপে উঠেছিল ফুটবলবিশ্ব।
কিন্তু চারবছরে এ হেন পটপরিবর্তন। আজ সেই বিশ্বকাপ আছে, সেই উন্মাদনা আছে। নেই ভান পার্সিদের নেদারল্যান্ড। তিনবারের রানার্স আপ দল এবারের বিশ্বকাপের মূলপর্বের জন্য কোয়ালিফাই করতে পারেনি। রাশিয়ায় মহারণ শুরুর দিনে তাই নেদারল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়কের টুইটে ধরা পড়ল চার বছর আগের নস্ট্যালজিয়ার ছবি। নিজের করা গোলের ছবি পোস্ট করে আক্ষেপ প্রকাশ করে বললেন, সময় দুরন্ত গতিতে বয়ে যায়।
[আজ রাশিয়ায় শুরু মহারণ, উদ্বোধনে চাঁদের হাট]
একা ভান পার্সি নন, তাঁর মত অনেক তারকারই এবারের বিশ্বকাপ খেলা হচ্ছে না। ৬০ বছর পর বিশ্বকাপ না খেলার জ্বালা যেন কিছুতেই ভুলতে পারছে না ইটালি। চিয়েলিনি, বনুচ্চিদের দেশে বিশ্বকাপে যেন উন্মাদনাই নেয়। ইটালিয়রা এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না ৬০ বছর পর বিশ্বকাপের মূল মঞ্চে থাকবে না আজুরিরা। বিশ্বকাপের সবচেয়ে সফল দেশগুলির মধ্যে অন্যমত ইটালি, এর আগে চারবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা। কিন্তু বালোতেলিদের বাছাই পর্বের ব্যর্থতার স্বপ্নভঙ্গ করেছে সেদেশের হাজারো ফুটবল সমর্থকদের। অন্যবছর গুলিতে ফুটবল বিশ্বকাপ চলাকালীন বদলে যায় রোম, মিলানের মত শহরগুলির ছবি, শহরের অলিতে গলিতে ঝুলতে দেখা যায় জাতীয় দলের তারকাদের নামের হোর্ডিং, পোস্টার। জায়গায় জায়গায় আয়োজন করা হয় ফ্যান-জোনের। কিন্তু এবারে সেই রোম, মিলান যেন অদ্ভুদভাবে নীরব।
[২০২৬ বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্বে আমেরিকা-মেক্সিকো-কানাডা, সিদ্ধান্ত ফিফার]
সাম্প্রতিক কালে লাতিন আমেরিকার সবচেয়ে সফল দল চিলি। দু’বার কোপা আমেরিকায় মেসির স্বপ্নভঙ্গ করেছেন অ্যালেক্সিস সাঞ্চেজরা। বাছাই পর্বের বড় অঘটনগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল চিলির বিশ্বকাপে সুযোগ না পাওয়া। বিশ্বকাপে সুযোগ পায়নি গ্যারেথ বেলের ওয়েলশও। অ্যালেক্সিস, ভিদাল, বেলদেরও মিস করবে এবারের বিশ্বকাপ।
The post নস্ট্যালজিক ভান পার্সি, বিশ্বকাপে না খেলার ব্যথা ভুলতে পারছে না ইটালি-নেদারল্যান্ড appeared first on Sangbad Pratidin.