সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিছুদিন আগে ভিন সম্প্রদায়ের ছেলেকে বিয়ে করার জেরে নিজের বাবার রোষের মুখে পড়েছিলেন এক যুবতী। বাধ্য হয়ে উত্তরপ্রদেশের ওই বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়াতে মুখ খোলেন তিনি। নিজের বাবার হাত থেকে স্বামীকে বাঁচাতে সবার কাছে আবেদন জানান। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক ছড়াতেই এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে যোগী প্রশাসন। তারপরই সব শান্ত হয়ে যায়। এবার আরও প্রশংসনীয় কাজ করল উত্তরপ্রদেশের পুলিশ। পরিবারের আপত্তি উড়িয়ে মুসলিম যুবক-যুবতীর বিয়ের আসর সাজাল পুলিশ স্টেশনের মধ্যেই। অভিনব এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর জেলার দেওবন্দে।
[আরও পড়ুন: ‘প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেরাই অনুপ্রবেশকারী’, এনসিআর ইস্যুতে বিস্ফোরক অধীর]
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাহারানপুরের পাঠানপুরা মহল্লার বাসিন্দা আবদুল মালিকের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল মির্জাপুর থানার গন্ধেওয়াড় গ্রামের যুবতী খুশনসিবের। কিছুদিন আগে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। কিন্তু, বিষয়টি উভয়ের পরিবারকে জানাতেই অসম্মতি প্রকাশ করে তারা। পরিষ্কার জানিয়ে দেয় এই বিয়ে কোনওভাবেই মেনে নেবে না। অনেক আবেদন করেও তাদের মত বদলাতে পারেননি ওই প্রেমিক যুগল। শেষ পর্যন্ত কোনও উপায় না দেখে সাহারানপুরের এসএসপির সঙ্গে দেখা করে সমস্ত ঘটনা খুলে বলেন। এরপরও উভয়ের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তাদের রাজি করানোর চেষ্টা করেন পুলিশ আধিকারিকরা। কিন্তু, কোনও কিছুতেই কোনও লাভ হয়নি। বাধ্য হয়ে দেওবন্দ পুলিশ স্টেশনের মধ্যে বিয়ের আসর সাজিয়ে ওই যুগলের চারহাত এক করার উদ্যোগ নেয় প্রশাসন। আর শনিবার তাঁদের বিয়েও দিয়ে দেয়। যার সাক্ষী ছিলেন দেওবন্দের প্রচুর মানুষ।
এপ্রসঙ্গে দেওবন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক যোগদত্ত শর্মা জানান, আবদুল মালিক ও খুশনসিব দুজনেই বিয়ে করতে চাইছিলেন। কিন্তু, তাঁদের পরিবার রাজি হচ্ছিল। ওরা সাবালক হওয়ায় তাই আমরাই বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই।
[আরও পড়ুন: ‘হায়দরাবাদের ধর্ষকদের প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝোলানো হোক’, ঘৃণায় সরব রূপা গঙ্গোপাধ্যায়]
এপ্রসঙ্গে নববিবাহিত ওই দম্পতি বলে, ‘জীবনের প্রতিকূল সময়ে আমাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য পুলিশের প্রতি সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকব। বিয়ের এই ঘটনাটি এতটাই অন্যরকম যে দীর্ঘদিন তা আমাদের মনে থাকবে।’
The post যোগী রাজ্যে মানবিকতার নজির, থানার মধ্যেই মুসলিম যুগলের বিয়ে দিল পুলিশ appeared first on Sangbad Pratidin.