সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বিদায় নেওয়ার ইঙ্গিত দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সোমবার এক টুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী জানান, আগামী রবিবার থেকেই তিনি যাবতীয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে বিদায় নেওয়ার কথা ভাবছেন। তবে, কেন এই সিদ্ধান্ত? তার কোনও ব্যাখ্যা মোদি দেননি।
[আরও পড়ুন: ‘বিজেপির সঙ্গেই থাকছি’, বিরোধী শিবিরে যোগ দেওয়ার জল্পনা ওড়ালেন নীতীশ]
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের অন্যতম জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া স্টার। ফেসবুকে তাঁকে ফলো করেন প্রায় ৪৪ মিলিয়ন ইউজার। অর্থাৎ ৪ কোটি ৪০ লক্ষ মানুষ। টুইটারে মোদির ফলোয়ার সংখ্যা আরও বেশি। টুইটারে ৫৩.৩ মিলিয়ন উইজার ফলো করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। ইনস্টাগ্রামে প্রধানমন্ত্রীকে ফলো করেন ২৩ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ। ইউটিউবেও তাঁর সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ৪.৫ মিলিয়ন। দেশের আর কোনও রাজনৈতিক দল বা নেতার তো বটেই, কোনও সেলিব্রিটিরও এই পরিমাণ জনপ্রিয়তা নেই সোশ্যাল মিডিয়ায়।
[আরও পড়ুন: এবার টার্গেট মধ্যপ্রদেশ, বিধায়কপিছু ২৫ কোটির অফার দিচ্ছে বিজেপি!]
তাছাড়া, নরেন্দ্র মোদি শুরু থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয়। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে সোশ্যাল মিডিয়ার লড়াইয়ে বিরোধীদের কয়েক গোল দিয়েছেন মোদি। ২০১৯ নির্বাচনেও সোশ্যাল মিডিয়ার প্রচারে মোদির ধারেকাছে যেতে পারেননি কেউ। এ হেন প্রধানমন্ত্রী সোমবার একটি টুইট করে বললেন, “ভাবছি রবিবার থেকে ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম এবং ইউটিউবের মতো সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলি বন্ধ করব।” প্রধানমন্ত্রী আরও লেখেন, এ বিষয়ে পরে আপনাদের আপডেট দেব। মোদির এই সিদ্ধান্ত নিয়ে রীতিমতো সরগরম নেটদুনিয়া। প্রধানমন্ত্রী হঠাৎ কেন সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়বেন? তা ভেবে কূল পাচ্ছেন না নেটিজেনরা। বিরোধীরা অবশ্য কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না। ইতিমধ্যেই রাহুল গান্ধী টুইট করে মোদিকে পরামর্শ দিয়েছেন, ‘দয়া করে ঘৃণা ছাড়ুন, সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়তে হবে না।’
মোদি সত্যিই সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়বেন, নাকি এটা তাঁর কোনও রাজনৈতিক পরিবকল্পনার অংশ? তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়।
The post সোশ্যাল মিডিয়া ছেড়ে দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি! নিজেই ইঙ্গিত দিলেন টুইটারে appeared first on Sangbad Pratidin.