shono
Advertisement

Breaking News

বিহারে এনডিএতে অশান্তি চরমে! ‘একপেশেভাবে জোট হয় না’, নীতীশকে কড়া হুঁশিয়ারি বিজেপির

নীতীশ কুমার এবং বিজেপির মধ্যে তিক্ততা চরমে।
Posted: 04:18 PM Jan 18, 2022Updated: 05:21 PM Jan 18, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের বিহারে শরিকি কোন্দলে জর্জরিত বিজেপি (BJP)। জেডিইউ (JDU) নেতা তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে সেরাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বের তিক্ততা চরমে। পরিস্থিতি এতটাই সঙ্গীন যে, বিহারের বিজেপি রাজ্য সভাপতি সঞ্জয় জয়সওয়াল প্রকাশ্যেই নীতীশকে (Nitish Kumar) হুঁশিয়ারি দিয়ে বসলেন। বলে দিলেন, জোটের মর্যাদা বজায় রাখুন। একপেশেভাবে জোট বজায় রাখা আর সম্ভব হচ্ছে না।

Advertisement

বছর দুই আগে বিধানসভা ভোটে জেডিইউয়ের থেকে অনেক বেশি আসন পাওয়া সত্ত্বেও জোটধর্মের স্বার্থে নীতীশ কুমারকে মুখ্যমন্ত্রী করে বিজেপি। তখনই অনেকে আশঙ্কা করেছিলেন, বিহারের এই এনডিএ সরকার মসৃণভাবে চলতে পারবে না। বাস্তবে হচ্ছেও তাই। শুরু থেকেই প্রশাসনিক ক্ষেত্রে পদে পদে হোঁচট খেতে হচ্ছে নীতীশ কুমারকে। আবার জেডিইউ নেতারা নিজেদের ভোটব্যাংক অটুট রাখার স্বার্থে মাঝে মাঝেই কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারকে আক্রমণ শানিয়ে যাচ্ছেন। মোট কথা বিহারের এই দুই শরিকের মধ্যে ঠোকাঠুকি টুকটাক লেগেই আছে।

[আরও পড়ুন: প্রাক্তন কমেডিয়ানকে পাঞ্জাবে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করল AAP, ঘোষণা কেজরিওয়ালের]

সম্প্রতি তিক্ততা চরমে পৌঁছেছে দয়াশংকর সিনহা নামের এক নাট্যকারকে পদ্মশ্রী এবং সাহিত্য অ্যাকাডেমি দেওয়া নিয়ে। অতীতে এই দয়াশংকর সিনহা সম্রাট অশোককে মোগল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। যা একেবারেই না পসন্দ বিহারবাসীর। সম্রাট অশোকের সঙ্গে ঔরঙ্গজেবের তুলনাকারী এই ব্যক্তির পদ্মশ্রী প্রত্যাহারের দাবিতে দিন কয়েক আগে টুইটারে সরব হয়েছিলেন জেডিইউ নেতারা। সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর নাম করে বহু জেডিইউ নেতা টুইট করেন দয়াশংকর সিনহার পদ্মশ্রী প্রত্যাহারের দাবিতে। এখানেই আপত্তি বিজেপির।

[আরও পড়ুন: বিকল টেলিপ্রম্পটার! ডাভোসে বক্তব্যের মাঝেই থমকালেন মোদি, কটাক্ষ রাহুলের]

বিজেপির রাজ্য সভাপতি সঞ্জয় জয়সওয়াল (Sanjay Jaiswal) মনে করছেন, এভাবে প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করা হচ্ছে। কারণ, প্রধানমন্ত্রী কারও পদ্মশ্রী ফিরিয়ে নিতে পারেন না। সত্যিই যদি ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হয়, তাহলে বিহার সরকার তাঁকে গ্রেপ্তার করুক। তারপর বিহার সরকারের প্রতিনিধি দল যাক রাষ্ট্রপতির কাছে। কিন্তু এভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অপমান তাঁরা সহ্য করবেন না। সঞ্জয় জয়সওয়ালের সাফ কথা, “টুইটার টুইটার খেলাটা অনেক হল। প্রধানমন্ত্রীকে অপমান মানে বিহারের লক্ষ লক্ষ বিজেপি কর্মীর অপমান। এর বদলা কীভাবে নিতে হয়, আমরা ভালই জানি। নীতীশ কুমারের জোট ধর্মের মর্যাদা রাখা উচিত। জোট কখনও একপেশেভাবে বজায় রাখা যায় না।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement