অরূপ বসাক, মালবাজার: দুর্গাপুজো, লক্ষ্মীপুজো হয়ে গিয়েছে। আসছে কালীপুজো। বাংলা জুড়ে এখন ভরা উৎসবের মরশুম। তার উপর বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ তো আছেই। জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ক্রান্তি এলাকায় শুরু হয়েছে ভাণ্ডারী পুজো। ধনকুবেরকে ভাণ্ডারী রূপে পুজো করা এখানকার রীতি। প্রতি বছর এই সময়েই হয় পুজো। তিনদিনের পুজোয় উপরি আনন্দ মেলা। সাতদিন ধরে চেকেন্দা ভাণ্ডারী মাঠে আগামী সাতদিন ধরে চলবে মেলা (Fair)।
পুজো কমিটির সম্পাদক কেশবচন্দ্র রায় জানালেন, আগে একসময়ে এই চেকেন্দা ভাণ্ডারী এলাকায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল। তা থেকে বাঁচতে স্থানীয় বাসিন্দা রসিকচন্দ্র রায়ের উদ্যোগে প্রথম চেকেন্দা ভাণ্ডারী মাঠে কুবের দেবতাকে ভাণ্ডারী রূপে পুজো করা হয়। সেই থেকে প্রতি বছর দুর্ভিক্ষ থেকে গ্রামকে বাঁচাতে ভাণ্ডারী দেবতার পুজো দেওয়া হয় বলে তিনি জানান। এবছর ৮৫ তম পুজো এবং মেলা। তিনদিন ধরে পুজো দেওয়া হয়। তার পর মেলা। ১ নভেম্বর থেকে ক্রান্তি পঞ্চায়েত সমিতির পরিচালনায় এবং ক্রান্তি গ্রাম পঞ্চায়েতের সহযোগিতায় এই মেলা সরকারিভাবে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। মেলা উপলক্ষে নানা রকমের দোকানপাট, নাগরদোলা বসতে শুরু করেছে।
[আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোর পর নভেম্বর জুড়ে ১৩ দিন ছুটি! হিসেবনিকেশ শুরু সরকারি কর্মীদের মধ্যে]
ক্রান্তি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পঞ্চানন রায় বলেন, ৮৫ তম চেকেন্দা ভাণ্ডারী মেলায় সোমবার ভান্ডারী ঠাকুরের ঘট বসেছে। তিনদিন ধরে ভোগ দেওয়ার পরে আনুষ্ঠানিকভাবে পয়লা নভেম্বর মেলার উদ্বোধন হবে। মেলা চলবে আগামী ৭ নভেম্বর পর্যন্ত। সুশৃঙ্খলভাবে মেলা সংগঠিত করার জন্য পর্যাপ্ত পুলিশ প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানালেন। মন্দিরের পুরোহিত আদিত্য দেব শর্মা সকলকে ঠাকুরের মেলায় সহযোগিতার কারার জন্য আহবান করেন। ১ থেকে ৭ তারিখ পর্যন্ত এই মেলা এবং পুজোয় লক্ষ লক্ষ মানুষ এবং ভক্তদের সমাগম হবে। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে রয়েছে কড়া নিরাপত্তা।
[আরও পড়ুন: সম্প্রীতির নজির, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কালীপুজোয় সামিল হিন্দু-মুসলিম সকলেই]
দেখুন ভিডিও: