সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজ করতে হবে তরুণদের। দেশে কর্মসংস্কৃতির হাল ফেরাতে এমনই পরামর্শ দিয়েছিলেন প্রাক্তন ইনফোসিস কর্তা নারায়ণমূর্তি। আর তাঁর এহেন মন্তব্যকে ঘিরে বিতর্ক ঘনিয়েছে। এবার তাঁর পাশে দাঁড়াতে প্রধানমন্ত্রীর উদাহরণ দিলেন শিল্পপতি সজ্জন জিন্দাল।
জেএসডবলিউ চেয়ারম্যান সজ্জন জিন্দাল (Sajjan Zindal) এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘নারায়ণমূর্তির মন্তব্যকে সমর্থন জানাচ্ছি আমি। এটা বার্নআউট হওয়ার বিষয় নয়। এটা হল অনুপ্রেরণার ব্যাপার। ২০৪৭ সালের মধ্যে দেশকে অর্থনৈতিক সুপার পাওয়ার করে তুলতেই হবে। আমাদের মতে দেশে সপ্তাহে ৫ দিন কাজ করার সংস্কৃতি আমাদের দেশের মতো আকৃতির উন্নয়নশীল দেশের জন্য ঠিক নয়।’
[আরও পড়ুন: পাঁচ সঙ্গী-সহ অবসরগ্রহণ ‘খুশি’র, ডগ স্কোয়াডের জন্য সারমেয় শাবক কিনবে কলকাতা পুলিশ]
আর এর সঙ্গেই মোদির (PM Modi) প্রসঙ্গ টেনে তাঁর দাবি, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজি প্রতিদিন ১৪ থেকে ১৬ ঘণ্টা কাজ করেন। আমার বাবাও ১২-১৪ ঘণ্টা কাজ করতেন, সপ্তাহে ৭ দিনই। আমিও প্রতিদিন ১০-১২ ঘণ্টা কাজ করি। দেশ গড়ার লক্ষ্যে আমাদের কাজে প্যাশন খুঁজে পেতে হবেই।’
প্রসঙ্গত, একটি পডকাস্টে কথা বলার সময় নারায়ণমূর্তি (Narayana Murthy) জানিয়েছিলেন, ভারতের কর্ম সংস্কৃতির বড় পরিবর্তন প্রয়োজন। সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজ করতে হবে তরুণদের। তাঁর কথায়, ”ভারতের কর্ম-উৎপাদনশীলতা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে কম।” এই পরিস্থিতিতে ৭৭ বছরের নারায়ণমূর্তির (Narayana Murthy) পরামর্শ, ”আমার মতে তরুণদের অবশ্যই বলা উচিত, এটা আমার দেশ। আমি ৭০ ঘণ্টা কাজ করতে চাই।” এর পরই শুরু হয়েছে বিতর্ক। তাঁকে সমর্থন করার পর জিন্দালকেও পড়তে হয়েছে সমালোচনার মুখে। নেটিজেনরা প্রশ্ন তুলেছেন, তাহলে কি মানুষ কেবল সমস্ত দিন কর্মক্ষেত্রেই কাটাবে? ব্যক্তিগত জীবন জলাঞ্জলি দিয়ে?