সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাপুনজেলের মতো লম্বা চুল। সৌন্দর্যের অন্যতম সমীকরণ। তাই শখের কেশচর্চা মহিলাদের কাছে বড়ই প্রিয়। তবে, দুরারোগ্য ব্যধিতে যদি ঘটে কেশবিয়োগ? তাহলে? চোখের সামনে দেখতে হয় সেই বদলে যাওয়া চেহারা। ক্ষতবিক্ষত শরীর। এই ধাক্কা সামলাতে পারেন না অনেকেই। এই মানসিক ভয়কে জয় করে যারা এগিয়ে যান নিজের জীবনে তাঁরাই আসল জীবনযোদ্ধা। আর ঠিক এখানেই আসে তাহিরা কাশ্যপের নাম। তাঁর শরীরে কর্কটরোগ ছড়িয়েছে লার্ভা-পিউপা ধাপ থেকে প্রজাপতির মতো। চুল পড়ে ন্যাড়া হওয়া থেকে উইগ ব্যবহার করা, টুপি পড়া-এসব অভিজ্ঞতা তাঁকে শিখিয়েছে জীবনের নতুন সংজ্ঞা। তবে বর্তমানে কেমোথেরাপির পর অনেকটাই সুস্থ তাহিরা। শরীরে বাসা বাঁধা কর্কটরোগ তাঁর পিঠে এবং কোমরে সৃষ্টি করেছে গভীর ক্ষতের। সেই ছবি অনেক আগেই ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন। কীভাবে এই জীবনযুদ্ধ যুঝেছেন তাহিরা ? সেই বর্ণনা দিয়েই শনিবার তিনি বেশ কটা ছবি পোস্ট করেছেন ইনস্টাগ্রামে।
[আরও পড়ুন: বড়পর্দায় জুটি বাঁধলেন সৌরভ-পায়েল, এইপ্রথম মুখ্য চরিত্রে অভিনেতা]
আয়ুষ্মান-ঘরনি তাহিরা কাশ্যপ নিঃসন্দেহে কর্কটরোগে আক্রান্ত মানুষ তথা মহিলাদের জন্য এক নয়া অনুপ্রেরণা। কর্কট রোগ তাহিরার উপর বড়সড় এক দাগ ফেলে গিয়েছে। শারীরিক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর মধ্যে এসেছে মানসিক পরিবর্তনও। তিনি এখন অনেকটাই পরিণতমনস্ক। জীবনের পাওয়া, না-পাওয়া এখন আর তাঁর উপর প্রভাব ফেলে না। ক্যানসারের ক্ষতই তাহিরার কাছে এখন ‘ব্যাচ অফ অনার’-সম। বদলে ফেলেছেন সৌন্দর্যের সংজ্ঞা। তাহিরা কাশ্যপ, ২০১৮ সালে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হন। এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক পোস্টে তাহিরা বর্ণনা করেছেন কর্কট রোগ নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা।
দুরারোগ্য ব্যধিও কমাতে পারেনি তাহিরার অদম্য মানসিক জোর। শরীরে কর্কটরোগের বীজ থাকতেই ঘোষণা করেন যে তিনি পরিচালক হিসেবে পদার্পণ করতে চলেছেন বলিউডে। ‘শর্মাজি কি বেটি’ নামে এক ছবি পরিচালনা করছেন তিনি। যেই ছবিতে মাধুরী দীক্ষিত এবং সায়ামি খের-এর মতো অভিনেতাকে দেখা যাবে মূল চরিত্রে। শুটিং শুরু হওয়ার কথা ছিল এপ্রিল থেকে। কিন্তু অসুস্থতার জন্য তা আর হয়ে ওঠেনি। পাশাপাশি লেখালেখির প্যাশন রয়েছে আয়ুষ্মান-পত্নীর। আর তাই ‘শর্মাজি কি বেটি’র চিত্রনাট্য নিজেই লিখে ফেলেছেন।
[আরও পড়ুন: OMG! বলিউডের এই অভিনেতাকে মনে ধরেছিল কাজলের!]
এই সেলেব-পত্নীর কাছে সব থেকে বড় পাওনা তিনি নিজের মানসিকতা পরিবর্তন করার সঙ্গে সঙ্গে সাত বছরের ছেলের জীবনদর্শনেও এনেছেন এক নতুন ধারা। পরবর্তী প্রজন্মের কথা ভেবে সন্তানকে শিখিয়েছেন জীবনের নতুন সংজ্ঞা। একথা তাহিরা নিজেই জানিয়েছেন নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে। ক্যানসার আক্রান্ত মানুষ তথা মহিলাদের মধ্যে তাহিরা কাশ্যপ যে এক নতুন অনুপ্রেরণা, তা বলাই বাহুল্য।
The post ক্যানসারকে হারিয়ে তাহিরা ছেলেকে শেখালেন জীবনের এক নয়া দর্শন appeared first on Sangbad Pratidin.