সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের মতো দেশে সার্বিক উন্নয়নে সবচেয়ে বড় বাধা দুর্নীতি। বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, এদেশের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি। লাগামছাড়া দুর্নীতির অভিযোগেই ২০১১ সালে পতন হয়েছিল কেন্দ্রের কংগ্রেস সরকারের। অন্যদিকে দুর্নীতিমুক্ত ভারতের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। যদিও কার্যক্ষেত্রে গত এক দশকে তেমনটা ঘটেনি। উলটে দুর্নীতির সূচকে ক্রমশ নিম্নমুখী ভারতের স্থান। জার্মানির সংস্থা ‘ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল’-এর 'করাপশন পারসেপশন ইনডেস্ক' অনুযায়ী চলতি বছরে বিশ্বের ১৮০টি দেশের মধ্যে দূর্নীতির সূচকে ভারতের ঠাঁই হয়েছে ৯৬ নম্বরে। পড়শি পাকিস্তান, বাংলাদেশের অবস্থা কী?
জার্মান সংস্থা ‘ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল’এই তালিকা তৈরি করেছে ১০০-এর মধ্যে কোন দেশ কত নম্বর পাচ্ছে, তার ভিত্তিতে। সর্বাধিক নম্বর পেয়ে বিশ্বের সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তকমা পেয়েছে ডেনমার্ক। এরপর রয়েছে যথাক্রমে ফিনল্যান্ড, সিঙ্গাপুর এবং নিউজিল্যান্ড। অন্যদিকে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের শিরোপা পেয়েছে দক্ষিণ সুদান। আফ্রিকারই আরেক দেশ সোমালিয়াকে সরিয়ে এই স্থান পেয়েছে তারা। ভারত গত বছর ছিল ৯৩ নম্বরে। দুর্নীতির সূচকের নিরিখে আরও নিচে নেমে এবার ৯৬ নম্বরে। অর্থাৎ কিনা দেশে দুর্নীতি বাড়ছে।
পড়শি পাকিস্তান ও বাংলাদেশের অবস্থা অবশ্য আরও খারাপ। তালিকায় বাংলাদেশ ১৪৯তম স্থানে, পাকিস্থান ১৩৫ নম্বরে। দুর্নীতিতে পিছিয়ে নেই আরেক প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কাও, তারা ১২১তম স্থানে। তবে ভারতের থেকে অনেকটাই ভালো অবস্থা চিনের, তারা ৭৬তম স্থানে। দুর্নীতি বেড়েছে আমেরিকায়। এবারের তালিকায় আমেরিকার স্থান হয়েছে ২৮ নম্বরে।
প্রসঙ্গত, বিশ্বব্যাঙ্ক, আফ্রিকান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক, আইএমডি বিজনেস স্কুলের মতো আর্থিক সংস্থার থেকে থেকে তথ্য সংগ্রহ করে 'করাপশন পারসেপশন ইনডেস্ক' তৈরি করে জার্মান সংস্থা ‘ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল’। অর্থনৈতিক স্বচ্ছতা নিয়ে সমীক্ষা চালিয়ে এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়।
