সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনেক প্রত্যাশা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত রাজ্যের মসনদে বসা হয়নি তাঁর। আপাতত তিনি বিরোধী নেতা। কিন্তু নীতীশ কুমারের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে যে খুব দ্রুত উঠে আসছেন লালু-পুত্র তাতে সন্দেহ নেই। তেজস্বী যাদবের (Tejashwi Yadav) ‘ম্যাজিক’ ক্রমশই ছড়িয়ে পড়ছে বিহারে (Bihar)। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া এক ভিডিও (Viral video) ক্লিপে ফের প্রমাণ মিলল তার।
ভিডিওয় পাটনার জেলাশাসকের উদ্দেশে তেজস্বীকে বলতে শোনা যায়, ”আমি তেজস্বী যাদব বলছি।” পরিচয় পাওয়ার আগে কিছুটা কাঠখোট্টা ভঙ্গিতে কথা বলতে শোনা গেলেও ফোনের অন্য প্রান্তে তেজস্বী রয়েছেন শুনেই রাতারাতি সুর বদলে ফেলে তাঁকে ”স্যার” সম্বোধন করতে শোনা যায় ওই জেলাশাসককে। আসলে পাটনায় (Patna) আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন আরজেডি নেতা। ওই শিক্ষকদের ধরনায় বসতে দেওয়া হচ্ছিল না। তখনই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন তেজস্বী। মুখ্য সচিব, পুলিশ কর্তার পাশাপাশি জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এর মধ্যে জেলাশাসকের সঙ্গে তাঁর কথোপকথন ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
[আরও পডুন: শেয়ার বাজারে ইতিহাস, প্রথমবার ৫০ হাজারের গণ্ডি পেরল সেনসেক্স]
তেজস্বী সরাসরি জেলাশাসকের কাছে জানতে চান, কেন ধরনায় বসার জন্য এভাবে রোজ অনুমতি নিতে হবে শিক্ষকদের। সেই সঙ্গে অভিযোগ জানান, লাঠিচার্জ করে শিক্ষকদের খাবার ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এমন অভিযোগের উত্তরে জেলাশাসক বলেন, আবেদনপত্র পাঠাতে। তিনি বিষয়টি দেখবেন। তাঁর এমন আশ্বাসের উত্তরে তেজস্বী জানতে চান, কতক্ষণে অনুমতি মিলবে। যা শুনে এবার মেজাজ হারান জেলাশাসক। বলে বসেন, ”কতক্ষণে মানে? আপনি আমাকে পালটা প্রশ্ন করছেন!” তখনই দ্রুত উত্তর দেন আরজেডি নেতা, ”আমি তেজস্বী যাদব বলছি ডিএম সাহেব।” শুনেই কার্যত ভোল বদলে ফেলে জেলাশাসক বলে ওঠেন, ”আচ্ছা স্যার, স্যার, স্যার।” ফোনটির স্পিকার অন থাকায় সকলেই তা শুনতে পাচ্ছিলেন। জেলাশাসকের এমন থতমত অবস্থা দেখে হেসে গড়িয়ে পড়েন বাকিরা।
[আরও পডুন: মন্দির চত্বর থেকে উদ্ধার বৃদ্ধ পুরোহিতের রক্তাক্ত মৃতদেহ, তীব্র উত্তেজনা উত্তরপ্রদেশে]
ভাইরাল হয়ে গিয়েছে ভিডিওটি। সমাজকর্মী সুধীন্দ্র কুলকার্নি সেটি শেয়ার করার সময় লিখেছেন, ”শেষ পর্যন্ত দেখুন। আর বুঝতে চেষ্টা করুন কীভাবে তেজস্বী যাদব দেশের অন্যতম প্রতিশ্রুতিবান নেতা হয়ে উঠেছেন।”