সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাদক যোগের অভিযোগে গ্রেপ্তারির প্রায় আট মাস পর ক্লিনচিট পেয়েছেন আরিয়ান খান (Aryan Khan)। গ্রেপ্তারির পর ভেঙে পড়েছিলেন শাহরুখপুত্র। ‘আমার কি এটাই পাওনা ছিল?’ এনসিবি কর্তাদের এই প্রশ্ন করেছিলেন ২৪ বছরের যুবক। এতদিন বাদে এক সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে পুরনো সেই কথা স্মরণ করলেন নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (NCB) কর্তা সঞ্জয় সিং।
সর্বভারতীয় এক ম্যাগাজিনে সঞ্জয় সিংয়ের সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়। সেখানে তিনি জানান, গ্রেপ্তারির পর ভেঙে পড়েছিলেন আরিয়ান। শাহরুখ পুত্রের যখন সঞ্জয় সিংয়ের দেখা হয়, তাঁকে মন খুলে পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। তখনই আরিয়ান আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেছিলেন, “স্যার, আমাকে আন্তর্জাতিক মাদকচক্রের সঙ্গে জড়িত হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, আমি নাকি টাকা দিয়ে মাদক পাচার করাচ্ছি। ওই দিন (যেদিন আরিয়ানকে গ্রেপ্তার করা হয়) আমার কাছ থেকে কোনও মাদক পাওয়া যায়নি। তারপরও আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আমার কি এটাই পাওনা ছিল?”
[আরও পড়ুন: আয়ুষ্মানের ‘ড্রিম গার্ল’ ছবিকে মনে করাল নুসরতের ‘জনহিত মে জারি’, পড়ুন রিভিউ]
জেলে থাকা ছেলের অবস্থা দেখে ভেঙে পড়েছিলেন শাহরুখ খানও (Shah Rukh Khan)। বছরের পর বছর যিনি বলিউডের রোম্যান্স কিং হিসেবে রাজত্ব করেছেন, তিনি প্রায় কেঁদে ফেলেছিলেন। জানিয়েছিলেন, কীভাবে রাতে ঘুমোতে পারছেন না আরিয়ান। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরও ছেলেকে নিয়ে চিন্তিত ছিলেন শাহরুখ। তাঁর সঙ্গে রাতের পর রাত কাটিয়েছেন। শোনা যায়, এখনও মনোবিদের পরামর্শ মেনে চলছেন আরিয়ান।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২ অক্টোবর মুম্বইয়ের বিলাসবহুল কর্ডেলিয়া ক্রুজে এনসিবি হানার নেপথ্যে ছিলেন সমীর ওয়াংখেড়ে। সেখান থেকেই আটক করা হয় আরিয়ান খানকে। তার ঠিক পরের দিন অর্থাৎ ৩ অক্টোবর আরিয়ানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওয়াংখেড়ের নেতৃত্বেই আরিয়ান মামলার তদন্ত শুরু হয়। তারপর একাধিকবার আরিয়ানের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। টানা ২৬ দিন জেলে কাটিয়ে জামিন পান আরিয়ান। কিন্তু পরে সমীর ওয়াংখেড়ের জাল সার্টিফিকেট দেওয়া, তোলাবাজি-সহ নানা অভিযোগ ওঠে। আরিয়ান কাণ্ড-সহ আরও ছ’টি মাদক মামলার দায়িত্ব দেওয়া হয় সঞ্জয় কুমার সিংয়ের নেতৃত্বাধীন বিশেষ তদন্তকারী দলকে (SIT)। চলতি বছরের মে মাসে এনসিবির ক্লিনচিট পান আরিয়ান।