সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: আমরা সবাই রাজা…। এই হল গণতন্ত্রের মজা। এই হল ভারতীয় সংবিধানের ক্ষমতা। এখানে পাশা বদলে রাজা কখনও হয়ে যান ফকির। আবার প্রজার হাতেও চলে আসে বিরাট রাজত্ব। মনের কোণে তেমনই রাজা হওয়ার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে সুদূর তামিলনাড়ু থেকে রাজধানীতে উপস্থিত সতীশ কুমার নামের এক আমআদমি। তাঁর একটাই স্বপ্ন, দেশের রাষ্ট্রপতি হবেন। সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে লাখো লাখো কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবেন।
কে হবেন দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি (Presidential Election)? কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী এ নিয়ে চলছে চর্চা। ইতিমধ্যেই বিরোধীরা নিজেদের প্রার্থী চূড়ান্ত করে ফেলেছেন। বিরোধী শিবিরের প্রার্থী হিসেবে আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে লড়বেন যশবন্ত সিনহা। খুব তাড়াতাড়ি নিজেদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দেবে বিজেপিও। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে লড়াইয়ের ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন বিহারের সারণ জেলার বাসিন্দা লালুপ্রসাদ যাদবও। যিনি পেশায় কৃষক এবং সমাজসেবী। আর এসবের মাঝেই দু’চোখে রাষ্ট্রপতি হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে সুদূর তামিলনাড়ু থেকে রাজধানীতে উপস্থিত হয়েছেন সতীশ। তিনি পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। তাই রাষ্ট্রপতি হয়ে সরকারকে প্রযুক্তিগত ভাবে সাহায্য করতে চান তিনি।
[আরও পড়ুন: বাজপেয়ীর ঘনিষ্ঠ থেকে বিরোধীদের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী! কেমন ছিল যশবন্ত সিনহার রাজনৈতিক যাত্রাপথ?]
শুধু স্বপ্ন দেখাই নয়, স্বপ্নপূরণের জন্য কসরতও কম করছেন না সতীশ। কন্যাকুমারী, গয়া, জম্মু-কাশ্মীর-সহ বিভিন্ন রাজ্যে গিয়ে মার্কেট রিসার্চ করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, কেন্দ্র সরকার যে স্টার্স-আপ, ডিজিটাল ইন্ডিয়া (Digital India), মেক ইন ইন্ডিয়া এবং ক্লিন ইন্ডিয়া প্রকল্পের সূচনা করেছেন, এই প্রকল্পগুলিই দেশে বিপুল কর্মসংস্থানে সক্ষম। কিন্তু এই পরামর্শ দিতে হলে কোনও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা জরুরি। আর সেই কারণেই রাষ্ট্রপতি হওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন সতীশ।
সতীশ বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই নিজের তৈরি প্রজেক্ট ও গবেষণা পত্র নিয়ে ঘুরছি। কিন্তু কোনও রাজনীতিবিদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না। এককভাবে রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন দেওয়াও বেশ কঠিন প্রক্রিয়া। তাই দিল্লি এসেছি। রাষ্ট্রপতি হলে প্রযুক্তিগত দিক থেকে সরকারকে সাহায্য করব। যাতে ২০৪২ সালের মধ্যে অর্থাৎ আগামী ২০ বছরে পাঁচ লক্ষ কর্মসংস্থান হয়।” ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতি হওয়ার আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠিও লিখেছেন তিনি। তবে এখনও মেলেনি কোনও উত্তর। যদিও হাল ছাড়তে নারাজ সতীশ। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত নিজের লড়াই চালিয়ে যাবেন।