shono
Advertisement

যেখানে স্রোতস্বিনীর বেশে বিরাজমান ত্রিদেব

সূর্যোদয়, সূর্যাস্তের অপরূপ মুহূর্ত ছাড়াও ভিউ পয়েন্ট থেকে ম্যাপের মতো ছড়িয়ে থাকা মহাবালেশ্বরের রূপও কম আকর্ষণীয় নয়! The post যেখানে স্রোতস্বিনীর বেশে বিরাজমান ত্রিদেব appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 07:35 PM Jun 27, 2016Updated: 04:40 PM Feb 28, 2019

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বর্ষা বড় বেহিসেবি! কোথাও সে নিতান্ত কৃপণের মতো আচরণ করে! কোথাও বা বারিধারায় ডেকে আনে প্লাবন!
মোদ্দা কথা, তার রূপ উপভোগের মুহূর্ত বড় একটা সে আমাদের হাতে তুলে দেয় না। মনে করে দেখুন তো, প্রকৃতির ঘন শ্যামলিমা, আকাশের নিবিড় নীলিমার মাঝে ঝর ঝর ধারাপাতে শেষ কবে নিজেকে মেলে দিয়েছিলেন বাঁধন না-মানা পাখির মতন? শেষ কবে আপনার ঘরের জানলার বাইরে পাগল হয়েছে বারিধারা আর সার্থক হয়েছে আপনার বর্ষামঙ্গল?

Advertisement


সেই সব মুহূর্তেরা এক লহমায় ধরা দিতে প্রস্তুত মহারাষ্ট্রের মহাবালেশ্বরে। যেখানে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে থাকা অজস্র ছোট-বড় পর্বতশৃঙ্গ প্রকৃতির সবুজ আবরণে নিজেকে মুড়ে, বারিধারায় স্নাত হয়ে অপেক্ষা করছে আপনার জন্য! ঝরনারা অবিরত যেখানে শোনাচ্ছে বর্ষার মঙ্গলগান। আর পাহাড়ের বুক চিরে যাওয়া জলধারার রূপে সাক্ষাৎ দেবতারা অপেক্ষা করছেন আপনার মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করবেন বলে!
প্রাচীন কাহিনি বলে, একবার দেবতাদের অভিশাপ দিয়েছিলেন মহাসতী দেবী সাবিত্রী। ব্রহ্মা, বিষ্ণু আর মহেশ্বর- তিন জনে এসেছিলেন তাঁর সতীত্বের পরীক্ষা নিতে। ক্রুদ্ধা সাবিত্রী তখন অভিশাপ দেন ত্রিমূর্তিকে- দেবতা হয়েও তাঁরা যখন মানুষের মতো পরিহাসে মেতে উঠেছেন, তখন তাঁদের বাস করতে হবে পৃথিবীতেই! তা ছাড়া, নারীকে নিয়ে পরিহাস করায় তাঁদের ধারণ করতে হবে নারী-শরীর!


সাবিত্রীর সেই অভিশাপে বিষ্ণু কৃষ্ণার জলধারারূপে, শিব বেনা নদীর রূপে এবং ব্রহ্মা কোয়েনা নদী হয়ে নেমে আসেন পৃথিবীতে। বেছে নেন মহাবালেশ্বরের এই পবিত্র প্রকৃতি।
তিন নদীর সেই পবিত্র জলধারায় প্রতি নিয়ত রূপ বর্ধিত হচ্ছে মহাবালেশ্বরের। বিশেষ করে বর্ষায় তার রূপ উপচে ওঠে, ধারণ করা যায় না দুই চোখের ক্ষুদ্র পরিসরে!
মহাবালেশ্বরের একমাত্র উপভোগ্য এবং দ্রষ্টব্য তাই প্রকৃতিই! অজস্র পাহাড়ের চূড়ায় নানা ভিউ পয়েন্ট আপনাকে স্বাগত জানাবার জন্য অপেক্ষা করছে।

সূর্যোদয়, সূর্যাস্তের অপরূপ মুহূর্ত ছাড়াও এই সব ভিউ পয়েন্ট থেকে ম্যাপের মতো ছড়িয়ে থাকা মহাবালেশ্বরের রূপও কম আকর্ষণীয় নয়! পাশাপাশি, ভ্রমণপিপাসা চরিতার্থ করার জন্য ছোট-বড় ঝরনারা তো রয়েছেই!
কী ভাবে যাবেন: পুণে বিমানবন্দরে নেমে গাড়ি ভাড়া করে চলে যাওয়া যায় ১২০ কিলোমিটার দূরের মহাবালেশ্বরে। এছাড়া পুণে জংশনে ট্রেনে নেমে পাড়ি দেওয়া যায় মহাবালেশ্বরের দিকে। স্থলপথে দূরত্ব একটু কমাতে চাইলে নামা যায় সাতারা স্টেশনেও। সেখান থেকে মহাবালেশ্বর মাত্র ৫৫ কিলোমিটার!

The post যেখানে স্রোতস্বিনীর বেশে বিরাজমান ত্রিদেব appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement