সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সমর্থকদের একাংশ এতদিন অভিযোগ করতেন মোহনবাগানের অন্দরে রাজনীতি ঢুকে গিয়েছে। কিন্তু এবারের অভিযোগ উলটো, সমর্থকরা বলছেন মোহনবাগানে রাজনীতি নয়, বরং রাজনীতিতে মোহনবাগানকে টেনে নিয়ে গিয়েছে তৃণমূল। হাওড়ার তৃণমূল প্রার্থী তথা কিংবদন্তী ফুটবলার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে দেখা গেল তৃণমূলের কর্মীরা মোহনবাগানের জার্সি গায়ে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। মোহনবাগানের মতো শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবের আবেগকে ভোটের ময়দানে কেন ব্যবহার করা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সমর্থকরা।
[আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে সুপার কাপ দিয়ে শুরু হচ্ছে নতুন ফুটবল মরশুম]
এমনিতে শুরু থেকেই প্রচারে অভিনবত্ব দেখিয়েছেন প্রসূন। কখনও তাঁকে দেখা গিয়েছে ফুটবল পায়ে নিয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে যেতে আবার কখনও দেখা গিয়েছে প্রসূনকে জেতানোর জন্য বড়সড় যজ্ঞের আয়োজন করছেন সমর্থকরা। এমনই এক অভিনবত্ব আনতে গিয়ে এবার বিপাকে পড়লেন প্রসূনবাবুর সমর্থকরা। সোমবার মধ্য হাওড়ার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে এক দল তৃণমূলকর্মী দলের ঝান্ডা কাঁধে মিছিলে হাঁটলেন সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রসূনের সমালোচনায় সরব হন ক্লাব সমর্থকরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওঠে নিন্দার ঝড়। সমর্থকদের একাংশ বলছেন ক্লাবের আবেগকে কাজে লাগিয়ে মোটেই ভাল কাজ করেননি প্রসূন।
[আরও পড়ুন:শতবর্ষে ইস্টবেঙ্গলের জীবনকৃতি সম্মান পাচ্ছেন মনোরঞ্জন-ভাস্কর]
যদিও, ওই কর্মীদের সঙ্গে নিজে উপস্থিত ছিলেন না তৃণমূল প্রার্থী। তিনি এবিষয়ে কিছু জানতেন না বলেও জানিয়েছেন। আসলে, হাওড়া জেলার বাসিন্দাদের ৯০ শতাংশই মোহনবাগান সমর্থক। হাওড়া থেকে সবুজ মেরুনের ঘরের ছেলেকেই প্রার্থী করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনেকেই মনে করেন, মোহনবাগানী আবেগকে কাজে লাগাতেই হাওড়া থেকে প্রসূনকে প্রার্থী করেন মমতা। যদিও, প্রকাশ্যে কখনওই মোহনবাগানের নামে ভোট চাইতে দেখা যায়নি তৃণমূল প্রার্থীকে। এই প্রথম তাঁর সমর্থকদের দেখা গেল শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাবের আবেগকে কাজে লাগাতে। এবিষয়ে মোহনবাগান সচিব সৃঞ্জয় বোসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, যে জার্সির কথা বলা হচ্ছে তা মোহনবাগানের সরকারি জার্সিও নয়, আর এ বিষয়টি ক্লাব সম্পর্কিতও নয়। তাই এ বিষয়ে ক্লাবের কোনও বক্তব্য নেই।
The post তৃণমূল প্রার্থীর প্রচারে সবুজ-মেরুন জার্সি, সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র কটাক্ষ প্রসূনকে appeared first on Sangbad Pratidin.