সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুরুংপন্থীদের গুলিতে নিহত এসআই অমিতাভ মালিক হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে বুধবার তিনজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। এদিন বেলা ১টা নাগাদ দার্জিলিং থেকে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়। শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করা হলে আদালত ধৃতদের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে এই হত্যাকাণ্ডের শিকড়ে পৌঁছতে চাইবে সিআইডি, এমনটাই জানিয়েছেন সিআইডির এক কর্তা।
[প্রশিক্ষণরত সব কর্মপ্রার্থীরাই বসতে পারবেন টেট-এ, ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর]
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম শ্যাম কামি, মাহিন্দ্র কামি ও দেওয়াজ লেপচা। গত ১৩ অক্টোবর পলাতক বিমল গুরুংয়ের খোঁজে গিয়েছিল পুলিশ। রঙ্গিত নদীর ধারে গুরুংপন্থীদের সঙ্গে পুলিশের গুলির লড়াইয়ে নিহত হন এসআই অমিতাভ মালিক। আহত হন আরও বেশ চারজন পুলিশকর্মী। অমিতাভর মৃত্যুকে ঘিরে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য। অভিযুক্তদের ধরতে শুরু হয় ব্যাপক ধরপাকড়। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতা বিমল গুরুং, প্রকাশ গুরুং, প্রবীণ সুব্বা-সহ মোট ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিশ। তদন্ত প্রথমে দার্জিলিং পুলিশের হাতে থাকলেও পরে এই মামলার তদন্ত তুলে দেওয়া হয় সিআইডির হাতে।
সেই সিআইডি তদন্তে নামতেই এল সাফল্য। এদিন গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিশাল পুলিশবাহিনী দার্জিলিংয়ের বিজনবাড়ি এলাকা থেকে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের মধ্যে শ্যাম কামি আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রামের বাসিন্দা, মাহিন্দ্রর বীরপাড়া ও দেওয়াজের বাড়ি কালচিনিতে। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৩, ১২০বি, ৩০৭, ৩০২, অস্ত্র আইনের ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। অমিতাভর মৃত্যু বিফলে যেতে দেবেন না বলে তাঁর স্ত্রীকে আশ্বাস দিয়েছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ। নিহত অমিতাভর স্ত্রী দাবি জানিয়েছিলেন, বিমল গুরুংয়ের মাথায় গুলি করে হত্যা করা হোক।
[রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া, বন্ধ ফ্ল্যাটে মৃত মায়ের দেহ আগলে ছেলে]
The post এসআই অমিতাভ মালিককে হত্যার অভিযোগে ধৃত ৩ গুরুংপন্থী নেতা appeared first on Sangbad Pratidin.
