সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরীক্ষকের নজর এড়িয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ব্যবহারের চেষ্টা। উচ্চমাধ্যমিকের প্রথম দিনেই বাতিল তিন ছাত্রের পরীক্ষা। তার মধ্যে একজন বেলঘরিয়া এবং বাকি দুজন দক্ষিণ বারাসতের ছাত্র।
উত্তর ২৪ পরগনার বেলঘরিয়ায় পরীক্ষা চলাকালীন এক পড়ুয়ার কাছ থেকে মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেন পরীক্ষকরা। মোবাইল নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্র ঢুকেছিল সে। পরীক্ষকদের নজর এড়িয়ে মোবাইল ব্যবহার করার চেষ্টা করে বলেই অভিযোগ। তবে পরীক্ষক তাকে হাতেনাতে পাকড়াও করে। মোবাইল বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি পরীক্ষাও বাতিল করে দেওয়া হয়। পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ব্যবহার করায় দক্ষিণ বারাসতের দুই ছাত্রেরও পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: মানতে পারেননি সন্তানের মৃত্যু, ১০ মাস পর ছেলের প্রিয় হলুদ পাঞ্জাবি, ছবি জড়িয়ে আত্মঘাতী মা!]
উল্লেখ্য, রাজ্যজুড়ে শুক্রবার থেকে ২ হাজার ৩৪১টি পরীক্ষাকেন্দ্রে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। প্রায় ৭ লক্ষ ৯০ হাজার ছাত্রছাত্রী এবার পরীক্ষা দিচ্ছে। উচ্চমাধ্যমিকে মোট ৬০ বিষয়ের প্রশ্নপত্র তৈরি হয়েছে চারটি ভাষায়। বাংলা, ইংরেজি, হিন্দি ও অলিচিকি ভাষায় প্রশ্নপত্র তৈরি হয়েছে। গত বছরের ১১টির সঙ্গে আরও দুটি যুক্ত করে মোট ১৩টি বিষয়ে অলচিকিতে প্রশ্নপত্র হয়েছে। সব বিষয়ের প্রতিটি প্রশ্নপত্রেই থাকবে ইউনিক সিরিয়াল নম্বর। একজন পরীক্ষার্থী যে প্রশ্নপত্র পাবেন, সেই প্রশ্নপত্রের ইউনিক সিরিয়াল নম্বরটি তাঁকে নিজের উত্তরপত্রের উপরে লিখতে হবে। প্রশ্নপত্রের অন্যান্য পাতাতেও লুকনো থাকবে প্রশ্নপত্রের নির্দিষ্ট সিরিয়াল নম্বর।
যার মাধ্যমে কোনও প্রশ্নপত্র পরীক্ষা চলাকালীন বাইরে বেরলেই ট্র্যাক করে প্রশ্নপত্রটি কার, তা চিহ্নিত করে ফেলবেন উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের কর্তারা। পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল, স্মার্টওয়াচ বা কোনওরকম বৈদ্যুতিন যন্ত্র রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। সংসদের তরফে জানানো হয়েছিল, পরীক্ষাকেন্দ্র চত্বরে বা পরীক্ষার রুমে কোনও পরীক্ষার্থী মোবাইল নিয়ে ধরা পড়লে তাঁর এ বছরের সম্পূর্ণ পরীক্ষা বাতিল করা হবে। সেই অনুযায়ী ওই ৩ পড়ুয়ার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল করা হল।