সুকুমার সরকার, ঢাকা: অস্ত্র উদ্ধারে বাধা৷ পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াই ফের মৃত্যু হল তিন রোহিঙ্গার৷ এবার ঘটনাস্থল কক্সবাজারের টেকনাফের নয়াপাড়া শরণার্থী শিবির৷ গুলির লড়াইয়ে দু’জন পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন৷ তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে৷
[ আরও পড়ুন: আসন্ন পয়লা বৈশাখের নয়া থিম, পাখির প্রতিকৃতিতে সাজবে ঢাকার মঙ্গল শোভাযাত্রা]
শুক্রবার গভীর রাতে নয়াপাড়ার শরণার্থী শিবিরের এইচ ব্লক লাগোয়া এলাকার হাবিবের পাহাড়ে অস্ত্র লুকিয়ে রাখা হয়েছে বলেই খবর পায় পুলিশ৷ সেই অনুযায়ী ওই শরণার্থী শিবিরে হানা দেন তদন্তকারীরা৷ সেখানে অস্ত্র উদ্ধার করতে গেলে শরণার্থীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ে পুলিশ৷ পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে গুলি চালাতে শুরু করেন আধিকারিকরা৷ তাতেই গুলিবিদ্ধ হন তিনজন৷ নিহত হন বছর তেইশের নুরুল আলম, বছর কুড়ির মহম্মদ জুবাইর এবং হামিল উল্লাহ৷ টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাস বলেন, ‘‘অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে গেলে রোহিঙ্গারা তাতে বাধা দেয়৷ পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে ওই শিবিরে থাকা রোহিঙ্গা৷ বাধ্য হয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে গুলি চালান পুলিশকর্মীরা৷ তাতেই তিনজন রোহিঙ্গা মারা গিয়েছে৷ দু’জন পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন৷ তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে৷’’ নিহতদের বিরুদ্ধে খুন, ডাকাতি-সহ একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানান ওই পুলিশ আধিকারিক৷
[ আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের জন্য খাদ্য সংকটে বাংলাদেশ, আলোচনার মাধ্যমে শরণার্থী ফেরানোর চেষ্টা]
এর আগে মার্চের শেষে রাজধানী ঢাকা-সহ বাংলাদেশের চারটি জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে পৃথক গুলির লড়াইয়ে খতম হয় পাঁচজন রোহিঙ্গা। কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের সঙ্গে ‘গুলিযুদ্ধে’ মায়ানমারের দু’জন রোহিঙ্গা নাগরিক এবং দু’জন জলদস্যু নিকেশ হয়৷ এছাড়াও খারাংখালি এলাকায় ও পেকুয়ার মগনামা ইউনিয়নের লঞ্চঘাটের সামান্য দক্ষিণ দিকে সমুদ্র চ্যানেলের বেড়িবাঁধে এই গুলির লড়াই হয়। এই অভিযানে প্রচুর মাদক ও অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ৷
The post অস্ত্র উদ্ধারে বাধা, শরণার্থী শিবিরে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু ৩ রোহিঙ্গার appeared first on Sangbad Pratidin.