সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত সপ্তাহেই জানা গিয়েছিল পাঞ্জাব সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢুকেছে একাধিক সশস্ত্র জঙ্গি। সেই ঘটনায় পর এবার পাঞ্জাবের পাঠানকোটে সেনার পোশাকে দেখা গেল ৩ সন্দেহভাজন যুবককে। অনুমান করা হচ্ছে, এরাই সেই পাক জঙ্গি। তাদের ছবি প্রকাশ্যে আসার পর স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক শুরু হয়েছে। সন্দেহভাজন ওই ৩ যুবকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট।
পাক সীমান্তবর্তী পাঞ্জাবের গ্রাম কোট বাটিয়ার এক বাসিন্দা সম্প্রতি পুলিশকে জানিয়েছিলেন, মুখ ঢাকা একাধিক সন্দেহজনক ব্যক্তিকে সে তাঁর ফার্ম হাউসের পাশ থেকে যেতে দেখে। তাদের কাছে ছিল প্রচুর পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র। গ্রামবাসীরাও পুলিশকে জানান, ওই জঙ্গিরা গ্রামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে বাড়ির কর্তার কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে রাতের খাবার তৈরি করতে বলে। রাতে সেই বাড়িতে খাওয়া দাওয়ার পর তারা পাঠানকোটের দিকে রওনা দেয়। ঘটনার কথা জানার পর পাঠানকোটের এসএসপি সুহেল কাসিম মির শীর্ষ আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন। গুরুদাসপুর ও পাঠানকোট দুই জেলায় হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়।
সন্দেহভাজন ওই জঙ্গিদের খোঁজ পেতে জোর কদমে তল্লাশি অভিযান শুরু করে পুলিশ। প্রতিটি রেলওয়ে স্টেশন, বাস স্ট্যান্ডের পাশাপাশি রাস্তাতেও শুরু হয় নাকা চেকিং। গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি চালানো হয় গুরুদাসপুর-পাঠানকোট-জম্মু ন্যাশনাল হাইওয়েতে। এই ঘটনার কথা জানানো হয় দেশের সেনাবাহিনী ও বিএসএফকে। পাঠানকোটের বায়ুসেনা ঘাঁটিকেও সতর্ক করা হয়। যদিও সন্দেহভাজন ওই জঙ্গিদের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। তবে গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, নিরাপত্তাবাহিনীকে বিভ্রান্ত করতে সেনার পোশাকে ঘুরছে ওই জঙ্গিরা। এরই মাঝে প্রকাশ্যে এল সেনার পোশাকে ৩ সন্দেহভাজনের ছবি।
জানা যাচ্ছে, ভাইরাল হওয়া ওই ছবি ২৯ বা ৩০ জুন নাগাদ তোলা। প্রকাশ্যে বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছিল ওই ৩ সন্দেহভাজন জঙ্গি। অনুমান করা হচ্ছে কোনও খাবারের দোকানে খাবার খাচ্ছিল তারা। ওই ছবির সূত্র ধরে তদন্তে নেমেছে পাঞ্জাব পুলিশ। ৩ যুবক সত্যিই সেনা জওয়ান, নাকি সেনার পোশাকে সীমান্ত পেরিয়ে আসা জঙ্গি তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশের তরফে এলাকাবাসীর কাছে আতঙ্কিত না হওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: হাথরাস কাণ্ড পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র! প্রাক্তন বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন যোগীর]
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ঠিক একই কায়দায় পাঞ্জাব সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে পাঠানকোট হামলা চালিয়েছিল ৩ পাক জঙ্গি। সেই সময় আইবির তরফে খবর দেওয়া হয়েছিল বামিয়ান গ্রাম হয়ে জঙ্গিরা পাঠানকোট ঢুকেছে। সেই জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয় এসপি র্যাঙ্কের এক আধিকারিক-সহ ৭ জন। এর ৬ মাস পর হামলা চলে পাঠানকোট বায়ুসেনা ঘাটিতে। এবারও তেমনই কোনও বড়সড় হামলার পরিকল্পনা করে জঙ্গিরা ভারতে ঢুকেছে বলে অনুমান জঙ্গিদের।