সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের অশান্ত উপত্যকা। পুলওয়ামা হামলার আতঙ্ক কাটতে না কাটতেই সেনা-জঙ্গি লড়াই শুরু হয়ে গেল কাশ্মীরে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কাশ্মীরের সোপিয়ান-সহ একাধিক এলাকায় জঙ্গিদের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেন ভারতীয় জওয়ানরা। সেনার কাজে জঙ্গিরা বাধা দিতে গেলে শুরু হয় গুলির লড়াই। লড়াই এখনও চলছে।
ঘটনার সূত্রপাত সোপিয়ানের কেল্লার এলাকায়। সেনার কাছে খবর ছিল সেখানে লুকিয়ে রয়েছে একাধিক জঙ্গি। গোপন সূত্রে খবর পাওয়ার পর সিআরপিএফ ও ভারতীয় সেনার জওয়ানরা একসঙ্গে অভিযান চালায়। তাদের সঙ্গে ছিল জন্মু ও কাশ্মীরের পুলিশও। আচমকা সেনা ও পুলিশের যৌথ আক্রমণে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় জঙ্গিরা। ঘটনাস্থলেই ভারতীয় সেনার জওয়ানরা ৩ জন জঙ্গিরা খতম করতে সক্ষম হন। তবে সেখানে আরও জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে বলে অনুমান সেনা ও পুলিশের। সেই কারণে এখনও তল্লাশি বন্ধ হয়নি। ঘটনাস্থল থেকে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। এলাকার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনার পরই খবর পাওয়া যায়, হান্দওয়ারার ইয়ারু এলাকাতেও সেনার সঙ্গে জঙ্গিদের গুলি বিনিময় হচ্ছে। তবে সেখানকার পরিস্থিতি আপাতত আয়ত্তে এসেছে বলে জানা গিয়েছে।
[ আরও পড়ুন: গুজরাটে বড়সড় পাচারচক্রের পর্দাফাঁস, পাঁচশো কোটির হেরোইন-সহ গ্রেপ্তার ৯ ]
এদিকে সন্ত্রাবাদীদের টার্গেট আরও একবার সেনার দিক থেকে ঘুরে গিয়েছে সাধারণ নাগরিকের দিকে। জঙ্গিদের হাতে বুধবার খুন হয়েছেন এক কাশ্মীরি নাগরিক। তিনি সোপিয়ানের বাসিন্দা ছিলেন। বয়স ২৪ বছর। রোজকার মতো গতকালও কাজে বেরিয়েছিলেন তিনি। হঠাৎই একদল জঙ্গি তাঁকে ও তাঁর বন্ধুকে রাস্তা থেকে অপহরণ করে। দু’জনকে তারা একটি আপেল বাগানে নিয়ে যায়। দ্বিতীয় জনকে ছেড়ে দিলেও প্রথম জনকে গুলি করে মেরে ফেলা হয়। সেই ভিডিও জঙ্গিরাই আপলোড করে সোশ্যাল মিডিয়ায়। জঙ্গিদের দাবি, ওই ব্যক্তি তাঁদের তথ্য ফাঁস করে দিয়েছিল। সেই কারণেই তাঁকে ‘শাস্তি’ দেওয়া হয়েছে।
গুলির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়। মুহূর্তের মধ্যে ঘিরে ফেলা হয় জায়গাটিও। তবে এখনও সেখানে জঙ্গিদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
[ আরও পড়ুন: ভোটে টিকিট না পেয়ে পার্টি অফিসের ৩০০ চেয়ার ‘চুরি’ করলেন কংগ্রেস বিধায়ক ]
The post জঙ্গিদমনে ফের বড় সাফল্য ভারতীয় সেনার, উপত্যকায় নিকেশ ৩ জেহাদি appeared first on Sangbad Pratidin.