মাসুদ আহমেদ: ফের উত্তপ্ত কাশ্মীর। একটানা ৯ ঘণ্টার লড়াইয়ে অবশেষে মিলল সাফল্য। বদগামের জোলওয়া ক্রালপোড়া চাদুরায় নিকেশ নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর গুলিতে নিকেশ তিন জঙ্গি। তারা প্রত্যেকেই জইশ-ই-মহম্মদের সদস্য বলেই জানা গিয়েছে। প্রত্যেকের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণ অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশবাহিনীর কাছে খবর যায় বদগামের চাদুরায় জঙ্গিরা আশ্রয় নিয়েছে। সেই অনুযায়ী ওই এলাকায় হানা দেয় পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর যৌথ দল। পুলিশ এবং সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে আড়াল থেকে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। পালটা আত্মরক্ষায় তৎপর হয় নিরাপত্তাবাহিনী। শুরু হয় দু’পক্ষের গুলির লড়াই। এভাবে প্রায় ৯ ঘণ্টা কেটে যায়। তাতেই একের পর এক তিন জঙ্গি নিকেশ হয়। তাদের নাম এখনও জানা যায়নি। তবে তারা প্রত্যেকেই জইশ-ই-মহম্মদের সদস্য বলেই জানা গিয়েছে। প্রত্যেকটি জঙ্গির কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: হাতে চুড়ি, পরনে মহিলাদের পোশাক, শিলিগুড়িতে নয়ানজুলি থেকে উদ্ধার নরকঙ্কাল]
এর আগে গত বুধবার পুলওয়ামার চন্দগাম এলাকায় মৃত্যু হয় ৩ জঙ্গির। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্রশস্ত্রও উদ্ধার করে হয়েছে। ২টি এম-৪ কার্বাইন ও ১টি একে রাইফেল পাওয়া গিয়েছে। মঙ্গলবারও কুলগামে এনকাউন্টারে দুই জঙ্গি খতম হয়েছিল। শুক্রবারের গুলির লড়াইতে নিকেশ ৩ জঙ্গি।
বস্তুত, শীতকালে তুষারপাতের মরশুমে সীমান্তের ওপার থেকে নতুন করে জঙ্গি অনুপ্রবেশ না হলেও কাশ্মীরে আগে থেকে ঢুকে থাকা পাক জঙ্গিরা এখনও স্থানীয় যুবকদের বিভ্রান্ত করে সন্ত্রাসের রাস্তায় নামানোর চেষ্টা করছে। সেই জঙ্গি চক্র নির্মূল করতে ডিসেম্বরের শুরু থেকেই সক্রিয় রয়েছে কাশ্মীর পুলিশ এবং সেনা। ২৫ ডিসেম্বর বড়দিনের রাতেই ৫ জেহাদিকে খতম করে সেনা। বছরের শেষ দিনে খতম হয় ৩ জঙ্গি। তার ঠিক আগে ২৯ ডিসেম্বর নওগাম এবং কুলগামে এনকাউন্টারে ৬ জেহাদিকে খতম করেছিল যৌথ বাহিনী। সেই কারণেই নতুন বছরের শুরুতেও সতর্ক বাহিনী। কয়েক দিন আগেই ভারতীয় নিরাপত্তারক্ষীদের তৎপরতায় বানচাল হয়েছিল পাকিস্তানি জঙ্গিদের ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা।