shono
Advertisement

নির্ভয়ার ধর্ষকদের ফাঁসির জন্য ডাক পড়ল জল্লাদের, পবনকে চাইল তিহার কর্তৃপক্ষ

৩১ জানুয়ারি, পয়লা ফেব্রুয়ারি দু'দিনের জন্য পবনকে চায় জেল কর্তৃপক্ষ।
Posted: 08:59 AM Jan 20, 2020Updated: 10:31 AM Jan 20, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। পয়লা ফেব্রুয়ারি নির্ভয়ার চার ধর্ষকের ফাঁসি কার্যকর হওয়ার কথা। তার জন্য উত্তরপ্রদেশের জল্লাদ পবনকে চাইছে দিল্লির তিহার জেল কর্তৃপক্ষ। উত্তরপ্রদেশের কারা অধিকর্তা আনন্দ কুমার জানিয়েছেন, ৩১ জানুয়ারি ও ১ ফেব্রুয়ারি – এই দু’দিনের জন্য পবনকে চাওয়া হয়েছে।

Advertisement

মিরাটের বাসিন্দা পবন আগেই জানিয়েছিলেন, তিনি নির্ভয়া কাণ্ডের অপরাধীদের ফাঁসিতে ঝোলাতে প্রস্তুত। তিনি বলেছিলেন, ‘‘ওই অপরাধীদের ফাঁসিতে ঝোলানো হলে আমি, নির্ভয়ার বাবা-মা ও দেশের সকলে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলব। এদের যোগ্য শাস্তি ফাঁসিই।’’ গত সপ্তাহে দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট নতুন করে নির্ভয়ার চার ধর্ষক – পবন, মুকেশ, বিনয় ও অক্ষয়ের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে। ১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৬টায় তিহার জেলে তাদের ফাঁসি হওয়ার কথা।

[আরও পড়ুন: এবার ভারতের নাগরিকত্ব পেতে চলেছেন তসলিমা! ইঙ্গিত মিলল নির্মলার কথায়]

এর আগে ২২ জানুয়ারি সকাল ৭টায় এই চারজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। সেইমতো প্রস্তুতিও শুরু হয়েছিল তিহার জেলে। কিন্তু অপরাধী মুকেশ নতুন করে সাজা সংশোধনের আরজি জানিয়ে আবেদন করায় ওই সময়সূচি পিছিয়ে যায়। নিয়ম অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি অপরাধীর প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করে দেওয়ার পর অন্তত ২ সপ্তাহ সময় দিতে হয়। গত শুক্রবার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ গণধর্ষণের অন্যতম অপরাধী মুকেশ সিংয়ের দায়ের করা প্রাণভিক্ষার আবেদন প্রত্যাখ্যান করে দেন। তার কয়েক ঘণ্টা পরেই নতুন করে এই ধর্ষকদের মৃত্যুর পরোয়ানা জারি করা হয়। ঘোষণা করা হয় নতুন দিন। ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাতে দিল্লিতে বছর তেইশের প্যারামেডিক্যালের ছাত্রীকে চলন্ত বাসে গণধর্ষণের পর নৃশংসভাবে খুনের ঘটনা ঘটে। গোটা দেশ গর্জে উঠেছিল এই নির্মমতার বিরুদ্ধে। প্রায় ৮ বছর পর চূড়ান্ত শাস্তির মুখে দোষীরা।

[আরও পড়ুন: নির্ভয়ার ধর্ষককে বাঁচাতে আদালতে জাল নথি! আইনজীবীকে নোটিস বার কাউন্সিলের]

চারজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার দিন ঘোষণার পর থেকেই জল্লাদ  পবন নিজের কাজ করার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন। আইনি জটে সেই দিন পিছিয়ে গেলেও নতুন দিন ধার্য হতেই তিনি ফের সক্রিয় হন। তিহার জেলে প্রস্তুতির পাশাপাশি তাঁকেও ডেকে পাঠানোর পরিকল্পনা করে উত্তরপ্রদেশের কারা দপ্তর। শুধু পয়লা ফেব্রুয়ারি, ফাঁসির দিনই নয়, পবন জল্লাদকে ৩১ জানুয়ারিও জেলের কাজে চান বলে জানিয়েছেন উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। তাঁরই হাত ধরে দেশের অন্যতম বড় অপরাধের দোষীদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হতে চলেছে। নির্ভয়ার চার ধর্ষককে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে যে অর্থ আয় করবেন জল্লাদ পবন, তা দিয়ে নিজের মেয়ের বিয়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement