সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিলচরের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ত্রিপুরায় (Tripura)! সে রাজ্যে প্রবেশের আগে আগরতলা বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হল তৃণমূলের (TMC) প্রতিনিধি দলকে। আরটিপিসিআর পরীক্ষার রিপোর্ট ছাড়া সে রাজ্যে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে সরকারের তরফে। এদিকে কোভিড পরীক্ষা করাতে নারাজ তৃণমূলের সদস্যরা। এ নিয়ে চলছে বচসা। প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার সময় পর্যন্ত তৃণমূলের সদস্যরা বিমানবন্দর থেকে বেরতে দেওয়া হয়নি বলে খবর।
উল্লেখ্য, ত্রিপুরায় আই প্যাকের সদস্যদের গৃহবন্দি করে রাখার অভিযোগ উঠেছিল। সে বিষয়ে বিস্তারিত জানতে, তাঁদের মুক্ত কার উদ্দেশে এবং দলের সংগঠন মজবুত করতে বুধবার সকালে ত্রিপুরা উড়ে গিয়েছেন বাংলার মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, মন্ত্রী মলয় ঘটক এবং ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার যাওয়ার কথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সফরের শুরুতেই বিপত্তি। বিমানবন্দরেই তাঁদের আটকে দেওয়া হয়েছিল বলে খবর। পরে অবশ্য তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। হোটেলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় হেনস্তার মুখে টিম PK: তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়ে বিপ্লব দেবের নিন্দায় মানিক সরকার]
সূত্রের খবর, বিপত্তির শুরু কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট ঘিরে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ত্রিপুরায় প্রবেশ করতে হলে কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট বাধ্যতামূলক। তৃণমূল প্রতিনিধি দলের কাছে সেই রিপোর্ট নেই বলেই খবর। নতুন করে পরীক্ষা করাতেও নারাজ তাঁরা। আর তার জেরেই বিমানবন্দরে আটকে ছিলেন প্রতিনিধি দল।
তৃণমূল-বিজেপির লড়াইয়ের হটস্পট এখন ত্রিপুরা (Tripura)। উত্তর পূর্বের বাঙালি অধ্যুষিত রাজ্যে সংগঠন মজবুত করতে চাইছে তৃণমূল (TMC)। আর ঠিক সেই সময় দলের ভোটকুশলী সংস্থা আইপ্যাকের কর্মীদের ‘আটকে’ রাখার অভিযোগ উঠেছিল। যদিও মঙ্গলবার রাতে আই প্যাকের ২৩ সদস্যের প্রত্যেকের উপর থেকে নজরদারি প্রত্যাহার করা হয়েছে। আপাতত সকলের RTPCR রিপোর্ট নেগেটিভ। তাঁরা আগরতলার হোটেলেই রয়েছেন। আজ তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আগরতলা যান তৃণমূলের ৩ প্রতিনিধি।
[আরও পড়ুন: Uttar Pradesh: ভয়াবহ দুর্ঘটনা, বাসের চাকায় পিষে মৃত্যু অন্তত ১৮ পরিযায়ী শ্রমিকের]
এদিকে আইপ্যাকের টিমের বিরুদ্ধে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে মামলা করা হয়েছে। পাঠানো হয়েছে সমনও। আগামী ১ আগস্ট তাঁদের তানায় হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। সবমিলিয়ে ত্রিপুরার রাজনীতির পারদ চড়ছে। সে রাজ্যের সরকারের সমালোচনা করে ত্রিপুরা তৃণমূলের সভাপতি আশিসলাল সিং জানিয়েছেন, “রাজ্য গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে। ভোটে বিজেপি হেরে যাবে বুঝেই এসব করছে।”