সৌরভ মাজি, বর্ধমান: তৃণমূল ও বিজেপির কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বর্ধমান। ঘটনার জন্য একে অপরকে দুষতে শুরু করেছে পদ্ম ও ঘাসফুল শিবির। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে দু’পক্ষই।
জানা গিয়েছে, রবিবার পূর্ব বর্ধমানের শালবাগানে বিজেপির একটি মণ্ডল কার্যালয়ে ভাঙচুর ভাঙচুর চালানো হয়। ধরিয়ে দেওয়া হয় আগুন। পুড়ে যায় চেয়ার, টেবিল, ফ্লেক্স ও কিছু আসবাবপত্র। বিষয়টি টের পেয়েই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। প্রতিবাদে দলের কর্মীরা রাস্তা অবরোধ করেন। তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলে দোষীদের শাস্তির দাবিতে সুর চড়ান তাঁরা। বিজেপি কর্মী পিংকি সাহা বলেন, এই ঘটনার বিহিত না হওয়া অবধি অবরোধ চলবে। অন্যদিকে, তৃণমূল নেতা অনন্ত পাল অভিযোগ উড়িয়ে দেন। বলেন, “তদন্ত হোক। দোষীদের শাস্তি হোক। আমরা এই হিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই।”
[আরও পড়ুন: ‘শীত গ্রীষ্ম বর্ষা, রাজীবদাই ভরসা’, রাতের অন্ধকারে ডোমজুড়ে পোস্টার-ব্যানার ঘিরে চাঞ্চল্য]
এই ঘটনার পর বর্ধমান শহরে জাতীয় সড়কের ধারে থাকা তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর চলে বলে অভিযোগ। যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি রাসবিহারী হালদার জানান, এদিন সকালে দলীয় অফিসের দরজা জানালার কাঁচ ভাঙা দেখেন তাঁরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamta Banerjee) একটি ফ্লেক্স পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। একটি শহিদবেদির রডও নষ্ট করে দেওয়া হয়। তাঁর অভিযোগ, বিজেপির লোক নেই। তাই বাইরে থেকে লোক এনে ঝামেলা করছে বিজেপি। ঘটনার প্রতিবাদে পথে নামেন তাঁরা। যদিও অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি বিজেপি নেতা শুভম নিয়োগীর। তাঁর কথায়, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা। সবমিলিয়ে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত বর্ধমান। উল্লেখ্য, এদিন দুপুরে বর্ধমান শহরের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে দেওয়াল লিখনকে কেন্দ্র করে বিজেপি-তৃণমূল ফের অশান্তিতে জড়ায়।