দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: মঙ্গলবার রাতে উত্তরপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী (TM Candidate) কাঞ্চন মল্লিককে নিয়ে কোন্নগরে কর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিল। একদিকে কোন্নগরের নবগ্রামে প্রার্থীকে নিয়ে কর্মীদের মধ্যে বিপুল উৎসাহ। আর অন্যদিকে কানাইপুরে কর্মীরা প্রার্থীকে কাছে না পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন। তার মধ্যেই তৃণমূলের ‘বহিরাগত’ তকমার পালটা বিজেপিও একই ভাষায় আক্রমণ করেছে কাঞ্চনকে। উত্তরপাড়ায় অভিনেতা বহিরাগত বলে দাবি একাংশের। যার মোক্ষম জবাব দিলেন কাঞ্চনও।
মঙ্গলবার রাতে প্রার্থীর কোন্নগরের নবগ্রাম ও কানাইপুরে নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার কথা ছিল। সেই মতো নবগ্রামে দলীয় কার্যালয়ে এসে নেতা কর্মীদের সঙ্গে দেখা করে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সারেন। কিন্তু প্রার্থীর এক আত্মীয় হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়ায় তিনি কানাইপুরের কর্মসূচি বাতিল করেন। এতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন কানাইপুরের কর্মীরা।
[আরও পড়ুন: বিয়ের দিন কনেকে ফেলে প্রেমিকার সঙ্গে চম্পট যুবকের, নাটকীয় পরিণতি পাত্রীর]
মঙ্গলবার নবগ্রামে এসে কর্মীদের উদ্দেশে কাঞ্চন মল্লিক (Kanchan Mullick) বলেন, “আপনারা বলবেন আমাকে কী করতে হবে।” বহিরাগত প্রসঙ্গেও এদিন বিরোধীদের একহাত নেন কাঞ্চন। বলেন, তাঁকে শুধু কোন্নগর কিংবা নবগ্রাম নয়, সারা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ড্রয়িংরুমে টিভিতে দেখেন। তাহলে তিনি কি করে বহিরাগত হলেন? এর সঙ্গেই জুড়ে দেন, “আমি তো সুখের পায়রা নই যে ফুস করে উড়ে যাব। আমি তো লড়াইয়ের জন্য এসেছি। সময়ই সে উত্তর দেবে। আমি একজন কমেডিয়ান। আমার কাজ হল উত্তরপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রের মানুষের মুখে হাসি ফোটানো।”
এদিকে, নবগ্রামের পর কানাইপুরে প্রার্থী আসবেন বলে আগে থেকে কর্মীরা উৎসাহ নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত আত্মীয়ের অসুস্থতার কারণে তিনি ফিরে যেতে বাধ্য হন। এতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন কর্মীরা। অভিযোগ, এলাকারই তৃণমূল নেতা পার্থ ঘোষ তাঁদের আবেগ বোঝেন না। এরকম প্রার্থীকে বসিয়ে দিলে এরকম অবস্থাই হবে। কানাইপুর পঞ্চায়েত প্রধান আচ্ছালাল যাদব অবশ্য না আসার কারণ হিসেবে বলেন, এর পিছনে অন্য কোনও রাজনীতি থাকতে পারে। তবে তাঁরা প্রার্থী দেখে ভোট করবেন না। তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে ভোট করবেন।