সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটকেন্দ্রের ১০০ মিটারের মধ্যে রাজ্য পুলিশের প্রবেশাধিকার নেই। পুরোটাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকবে। রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু কমিশনের এই সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ তৃণমূল (TMC)। তাদের দাবি, ভোটের সময় বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে রাজ্য পুলিশকেও ঢোকার অনুমতি দিতে হবে। কারণ, তাঁরাই সারাবছর রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখে। ভোটের সময় রাজ্য পুলিশের সঙ্গে এই ধরনের আচরণ করা হলে তাঁদের মানসিকতায় প্রভাব পড়তে পারে।
শুক্রবার একাধিক দাবি নিয়ে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে যায় তৃণমূলের এক প্রতিনিধিদল। যার নেতৃত্বে ছিলেন সৌগত রায় (Sougata Roy) এবং যশবন্ত সিনহা (Yashwant Sinha)। তৃণমূল সাংসদদের দাবি, “সংবাদমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি পোলিং বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে রাজ্য পুলিশকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। কিন্তু এতে রাজ্য পুলিশের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। ভোটের জন্য কেন্দ্র থেকে বাহিনী আসতেই পারে। কিন্তু তাঁদের রাজ্য পুলিশের সমন্বয় বজায় রাখা প্রয়োজন।” তৃণমূলের যুক্তি, বুথের ভিতরে শুধু কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলে ভাষার জন্য সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথাবার্তাতেও সমস্যা হবে। কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সৌগত রায় জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশন তাঁদের কথা শুনেছে। এবং তাঁদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। বুথে রাজ্য পুলিশকে ঢুকতে দেওয়া হবে বলেও দাবি করছেন দমদমের সাংসদ।
[আরও পড়ুন: ‘স্রোতের বিপরীতে গিয়ে বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন আপনি’, শিখা মিত্রকে ফোনে ধন্যবাদ সোনিয়ার]
বাহিনীর পাশাপাশি আরও দুটি বিষয়ে কমিশনে (Election Commission) নালিশ জানিয়েছে এরাজ্যের শাসকদল। তাঁদের দাবি, সুপ্রিম কোর্টের নিয়ম অনুযায়ী ১০০ শতাংশ ভিভিপ্যাট ইভিএমের (EVM) সঙ্গে মিলিয়ে নেওয়া উচিত। কিন্তু কমিশন বড্ড হালকা যুক্তি দিয়ে সেই নিয়ম মানছে না। মিলিয়ে দেখা হচ্ছে মাত্র ৫ শতাংশ ভিভিপ্যাট। তৃণমূলের দাবি, ভোটে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে সব ভিভিপ্যাট মিলিয়ে দেখা দরকার। এছাড়াও গত ১০ মার্চ নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার তদন্তের পরিস্থিতি নিয়েও বিস্তারিত জানতে চেয়েছে নির্বাচন কমিশন।