নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজের দাবিকে সামনে রেখে ফের লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি যে চিঠিটি তৃণমূলের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে তাতে বিড়লা যাতে দ্রুত দলত্যাগী বিরোধী আইনের আওতায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন মূলত সে কথাই বলা হয়েছে চিঠিতে। বছর পার হতে চলল, তা সত্ত্বেও এ বিষয়ে শিশিরের ক্ষেত্রে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। বিষয়টি চিঠি ও শুনানির গেরোতেই আটকে রয়েছে সে কথাও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন সুদীপ।
শিশির গত বছর বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের আগে মঞ্চে গিয়ে বিজেপির পতাকা হাতে নিয়েছিলেন। সেই বিষয়টিকে সামনে রেখেই তৃণমূল এ বিষয়ে স্পিকারের কাছে নালিশ করেছিল। উল্লেখ্য, চলতি মাসেই উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে শিশির ও তাঁর পুত্র দিব্যেন্দু অধিকারী উভয়েই তৃণমূলের ভোটদান করার থেকে বিরত থাকা সিদ্ধান্ত থাকা সত্ত্বেও ভোট দিয়েছিলেন। যা নিয়ে সুদীপ চিঠি দিয়ে আপত্তির কথা জানিয়ে সতর্ক করেছিলেন শিশিরকে।
[আরও পড়ুন: ‘কেষ্টা বেটাই চোর’, জন্মাষ্টমীতে ভাইরাল আমূলের বিজ্ঞাপন ঘিরে বিতর্ক, কী বলছে তৃণমূল?]
শিশির অধিকারীর সাংসদপদ নিয়ে টানাপোড়েন বহুদিনের। চলছে আইনি লড়াই। তাঁর বিরুদ্ধে আগেই দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগ করে সাংসদ পদ খারিজের দাবি জানিয়ে লোকসভার অধ্যক্ষের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এথিকস কমিটিও চিঠি দিয়েছিল শিশির অধিকারীকে। পালটা জবাবে কাঁথির সাংসদ জানিয়েছেন, তিনি বিজেপির পতাকা হাতে নেননি। এখনও তৃণমূলেই রয়েছেন। শিশিরের সেই জবাব খতিয়ে দেখছেন আইনজ্ঞরা।
এদিকে, সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলায় হাই কোর্টের নজরে আসতে চলেছে শিশির অধিকারী, শুভেন্দু অধিকারী, দিব্যেন্দু অধিকারী-সহ ১৭ জন নেতা-নেত্রীর নাম। বৃহস্পতিবার এই ১৭ জন নেতার সম্পত্তি বৃদ্ধির বিষয়টি নজরে আনতে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাই কোর্টে। এই ১৭ জনের তালিকায় আছে মহম্মদ সেলিম, আবদুল মান্নান (Abdul Mannan), দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়দের মতো নেতানেত্রীর নাম।