ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: প্রার্থীপদ প্রত্যাহারে তাঁদের দু’জনের কেউই রাজি নন। তাই দুই নির্দল প্রার্থীকেই বহিষ্কারের কথা জানিয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। একজন ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডে প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বোন তনিমা চট্টোপাধ্যায়। আরেকজন ৭২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী তথা কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়। পালটা তনিমা জানিয়েছেন, তাঁকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত হলেও ভোট তিনি তৃণমূলকেই দেবেন। কারণ দলের সঙ্গে তাঁর কোনও বিরোধ নেই। সচ্চিদানন্দ জানিয়েছেন, তিনি তো দলের সদস্যই নন। ফলে তাঁকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত অবাস্তব।
আরও একাধিক ওয়ার্ডের মতো কলকাতা পুরসভার এই দু’টি ওয়ার্ড নিয়েও অস্বস্তির মুখে পড়তে হয়েছে তৃণমূলকে। ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডে প্রথমে তনিমাদেবীকে প্রার্থী করেও তাঁকে প্রতীক দেয়নি। পরে সেখানে প্রাক্তন ওয়ার্ড-কো অর্ডিনেটর সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়কেই শেষ মুহূর্তে প্রার্থী করা হয়। এই প্রার্থী বদল নিয়ে দলের তরফ থেকে তাঁকে কিছু জানানো হয়নি বলে প্রথম থেকেই দাবি করেছেন প্রয়াত মন্ত্রীর বোন। টানা প্রচার করে গিয়েছেন। সোমবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
এর মধ্যেই প্রার্থীপদ প্রত্যাহার না করায় তাঁকে ও সচ্চিদানন্দকে বহিষ্কাররের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূল জেলা সভাপতি দেবাশিস কুমার। তাঁর কথায়, “দলের সংবিধান দু’জনের কেউই মানেননি। সেই কারণে তাঁদের বহিষ্কার করা হচ্ছে।”
[আরও পড়ুন: TMC in Goa: গোয়ায় বড় ধাক্কা বিজেপির, গেরুয়া শিবির ছেড়ে তৃণমূলের সঙ্গী MGP]
দলের এই সিদ্ধান্ত যদিও দু’জনের কেউই জানেন না। তনিমাদেবী তার মধ্যে মনে করিয়ে দিয়েছেন, “মনোনয়ন প্রত্যাহার হোক বা বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত, দল তাঁকে কোনও কিছুই জানিয়ে করেনি।” যদিও বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের পরও তিনি তৃণমূলকেই ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন তনিমা। বলেছেন, “আমি দলের বিরুদ্ধে নই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আমার সবরকম সমর্থন রয়েছে।” এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য, তাঁর বাড়ির ওয়ার্ড ৮৫। যেখানে দলীয় প্রার্থী হয়েছেন দেবাশিস কুমার নিজে।
অন্যদিকে, সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করিয়ে দিয়েছেন, তিনি তো দলের সদস্যই নন। বলেছেন, “২০১৬ সাল থেকে আমি আর দলের সদস্য নই। দল আমায় সদস্যপদ দেয়নি। আমিও আর চাইনি।” পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যানের একইসঙ্গে দল আর তার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি তাঁর দুর্বলতার কথা মনে করিয়ে বলেছেন, “আমি চিরকালই তৃণমূলের প্রতি দুর্বল। দল আমায় টিকিট না দিলেও দলের প্রতি আমার আনুগত্য থাকবেই।”