অর্ণব দাস,বারাকপুর: লোকসভা নির্বাচনের (2024 Lok Sabha Election) দোরগোড়ায় দাঁড়িয়েও কিছুতেই থামছে না শাসক দলের গোষ্ঠী কোন্দল। আবারও বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংকে কড়া ভাষায় বিঁধলেন জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। কারোর নাম না করে তাঁর অভিযোগ, নিজের ছেলেকে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বসিয়ে চক্রান্ত করছেন। আবার তিনিই বারাকপুর লোকসভায় টিকিট পাওয়ার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়র সঙ্গে বসছেন। সোমবার বারাকপুর দমদম সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা বরানগরের বিধায়ক তাপস রায় দলের সব পদ থেকে ইস্তফার পাশাপাশি দল ছেড়েছেন। এমন আবহে একই সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল বিধায়কের এই বক্তব্যেকে ঘিরে অস্বস্তি বেড়েছে শাসক দলের অন্দরে।
[আরও পড়ুন: মোদির সভার দিন ১৫টি ছাত্র সংগঠনের মিছিল শহরে, তীব্র যানজটের আশঙ্কা]
আগামী ১০ মার্চ ব্রিগেডে তৃণমূলের জনগর্জন সভার প্রস্তুতি হিসাবে নোয়াপাড়া বিধানসভার ইছাপুরে রবিবারে কর্মিসভা আয়োজিত হয়। সেই মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সোমনাথ শ্যাম বলেন, “গত লোকসভা নির্বাচনে যারা শিল্পাঞ্চলে সন্ত্রাস চালিয়েছে তারাই এই ভোটে আবার আসবে। তার পর তারা আবার জামা পালটে অন্য কোথাও চলে যাবে। এই লোকগুলোকে ভুলে যাবেন না। তারা নিজের আখের গোছাতে, নিজেকে বাঁচাতে তৃণমূল কংগ্রেসে (TMC) দ্বিতীয়বার এসেছে।”
বিগত দিনের তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনা উল্লেখ করে বিধায়কের প্রশ্ন, “এদের বারাকপুর লোকসভায় প্রার্থী করে পাঠালে নিহতদের পরিবার মেনে নিতে পারবে?” এর পরই নাম না করে সাংসদ অর্জুন সিংকে তাঁর আক্রমণ, “নিজের ছেলেকে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বসিয়ে চক্রান্ত করছে। অপরদিকে আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়র সঙ্গে বসছে, যাতে বারাকপুর লোকসভায় তাঁকে দ্বিতীয় বারের জন্য টিকিট দেওয়া হয়। এই ধরনের গদ্দাররা জন্মেছেই গদ্দারি করার জন্য। আজকে এরা সাদা পোশাক পরে আসবে, কালকে তাদের দেখা যাবে গেরুয়া পোশাকে। পরেরদিন আবার দেখবেন সবুজ পোশাক পড়ে আছে। এদের কোন জাত নেই, ধর্ম নেই।” যদিও এদিনও এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি সাংসদ অর্জুন সিং। তিনি শুধু জানান, বিষয়টি নিয়ে দলের ভাবা উচিত। প্রতিক্রিয়া দিলে দলের উচ্চ নেতৃত্ব দেবে।
[আরও পড়ুন: সব বিচার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত! বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে তোপ কল্যাণের]
যেখানে প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে তৃণমূল সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার বার দলের কোন্দল নিয়ে কড়া বার্তা দিচ্ছেন। দলীয় সভাতেও জেলার নেতাদের কাঁধে কাঁধে মিলিয়ে চলার বার্তা দিচ্ছেন সেই জায়গায় বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে কোন্দল থামার নাম নিচ্ছে না। যা স্বাভাবিক ভাবেই উচ্চ নেতৃত্বের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলবে।