সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: নির্বাচনের আগে বহিরাগতরা রাজ্যে অশান্তির চেষ্টা করছে আর তা চলছে বিজেপির মদতে। বিভিন্ন জনসভা থেকে এই অভিযোগ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের সভা থেকে তিনি বৃহস্পতিবার রাতে কাঁথির ঘটনার কথা উল্লেখ করে বলেন, “কাল রাতে কাঁথি বাসস্ট্যান্ড থেকে উত্তরপ্রদেশের ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওদের কাছে নাকি অস্ত্রও পাওয়া গিয়েছে। ওই মীরজাফররা ওদের এনেছে। কিন্তু এসব করে কোনও লাভ হবে না। নন্দীগ্রাম, কাঁথি কোথাও কোনও অশান্তি করতে দেব না।” এবার এই ইস্যু নিয়েই প্রমাণ-সহ নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) দ্বারস্থ হল তৃণমূল নেতৃত্ব। শনিবার ডেরেক ও’ ব্রায়েন, কাকলি ঘোষ দস্তিদাররা গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। স্পর্শকাতর জায়গায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েনের কথাও জানানো হয়।
এদিন দুপুরে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়েরের পর বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, ”আমাদের কাছে খবর আছে, মেদিনীপুরের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি তৈরির চেষ্টা চলছে। এগরা, পটাশপুর, নন্দীগ্রামে নির্বাচনের দিন বহিরাগতরা এসে বাধানোর চেষ্টা করবে। মানুষের ভিড়ে মিশেই বহিরাগতরা নিজেদের কাজ করবে। তাই আমরা কমিশনে এসে বলেছি, যাতে সুষ্ঠুভাবে এসব জায়গায় ভোট হয়, তার ব্যবস্থা করতে। আগেও কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু সুরাহা হয়নি। আমাদের আশঙ্কা, বিজেপি সব বানচাল করে দিতে পারে।”
[আরও পড়ুন: জঙ্গলমহলে ভোটের আগের দিন ছত্রধরকে তলব NIA’র, বেলা ৩ টের মধ্যে হাজিরার নির্দেশ]
অন্যদিকে, দেশের ৩০ শতাংশ মুসলিমকে নিয়ে ‘পাকিস্তান’ তৈরি হয়ে যাবে, এই বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে নানুরের তৃণমূল (TMC) নেতা শেখ আলমকে শোকজ করা হয়েছে। শেখ আলম এই বিষয়ে ক্ষমা চেয়ে নিলেও, তাঁকে শোকজ করল নির্বাচন কমিশন। শুক্রবারের মধ্যে তাঁকে উত্তর দিতে বলা হয়েছে। এর আগে এক জনসভায় শেখ আলম বলেছিলেন, ”আমরা যারা সংখ্যালঘু তারা ৩০ শতাংশ আর বাকিরা ৭০ শতাংশ। এই ৭০ শতাংশকে নিয়ে গদিতে আসবেন বলছে তাঁরা। এদের লজ্জা লাগা উচিত। সারা ভারতবর্ষের ৩০ শতাংশ লোককে একদিক করে দেওয়া হলে চার চারটে পাকিস্তান তৈরি হবে। আমরা ভারতবর্ষে যত মুসলিম আছি, সংখ্যালঘু আছি তাদের যদি একটা দিক করে দেওয়া হয় তাহলে চার চারটে পাকিস্তান তৈরি হবে।” এই বিষয়ে শেখ আলম বলেন, ”বিজেপি শতাংশ ভাগ করে রাজনীতি করছে। তবে এই কথা বলার জন্য কোনও শ্রেণির মানুষ যদি দুঃখ পেয়ে থাকেন, তা হলে ক্ষমা চাইছি।”