সন্দীপ চক্রবর্তী: ত্রিপুরার মাটি আরও শক্ত করতে বদ্ধপরিকর তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। আর সেই কাজে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। বিপ্লব দেবের রাজ্যে যতবারই তিনি পা রেখেছেন, ততবারই ধেয়ে এসেছে শত্রুপক্ষ। হামলার মুখে পড়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। আর তাতেই যেন জেদ আরও বেড়েছে তাঁর। দুষ্কৃতী হামলা, প্রতিরোধের তোয়াক্কা না করে নতুন নতুন ছক সাজিয়ে বারবার তিনি ত্রিপুরা (Tripura)সফরে গিয়েছেন, যাচ্ছেনও। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর রাজধানী আগরতলায় (Agartala) ঐতিহাসিক পদযাত্রার নেতৃত্ব দেবেন অভিষেক। তারই তোড়জোড় চলছে ত্রিপুরার তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে।
কথা ছিল, ৩ সেপ্টেম্বর ত্রিপুরায় যাবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মুহূর্তে সেখানকার সংগঠনকে চাঙ্গা করতে ১৫ দিন ধরে টানা আগরতলা রয়েছেন কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে আসা উত্তরপূর্বের জনপ্রিয় নেত্রী সুস্মিতা দেব (Sushmita Dev)। তাঁরই সঙ্গে অভিষেকের যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই সফর পিছিয়ে যায়। ৬ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে ইডি (ED) তলবের হাজিরা দেওয়ার জন্য ত্রিপুরা সফর অভিষেক নিজেই পিছিয়ে দেন বলে ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর। ওইদিন তিনি দিল্লিতে ইডি দপ্তরে হাজিরা দিয়ে তদন্তে সহযোগিতা করেছেন। আপাতত দিল্লির কাজ শেষ। তাই ফের মনোসংযোগ করেছেন ত্রিপুরায় দলীয় সংগঠনের দিকে।
[আরও পড়ুন: COVID-19: দেশের কোভিড গ্রাফ অনেকটাই নিম্নমুখী, কমল দৈনিক মৃত্যুও]
জানা গিয়েছে, আগামী ১৫ তারিখ অভিষেক যাচ্ছেন আগরতলা। সেখানে তাঁর নেতৃত্বে দুপুর ২টো থেকে ঐতিহাসিক পদযাত্রা শুরু হবে। বিশাল জনসমাগমের সম্ভাবনা। এই মর্মে নতুন একটি পোস্টারও তৈরি করেছে ত্রিপুরার তৃণমূল নেতৃত্ব। অভিষেকের উপস্থিতিতে এই মিছিল ছাড়াও সেখানকার বেশ কয়েকজন নেতার তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা শোনা গিয়েছে। আর সেটাই অভিষেকের এই সফরের অন্যতম প্রাপ্তি হতে চলেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
[আরও পড়ুন: করদাতাদের জন্য স্বস্তির খবর, বাড়ল আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময়সীমা]
সূত্রের আরও খবর, ১৫ তারিখ অভিষেকের পদযাত্রার দিনই আবার ত্রিপুরায় বাম যুব সংগঠমনের রাজভবন অভিযানের কর্মসূচি রয়েছে। রাজ্যের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে কর্মক্ষেত্রে সঙ্গীন পরিস্থিতি নিয়ে আন্দোলন জোরদার করতে এই কর্মসূচি নিয়েছে DYFI. ফলে ওইদিন দুই পৃথক রাজনৈতিক দলের জোড়া কর্মসূচি ঘিরে আগরতলা তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা করছে পুলিশ মহল।