সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ত্রিপুরায় বসেই আরও একবার বিজেপিকে হুঙ্কার তৃণমূলের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) ধমকিয়ে চমকিয়ে ভয় দেখানো যাবে না বলেই হুঁশিয়ারি বাংলার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর। ত্রিপুরায় কার্যত নৈরাজ্যের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, অভিযোগ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের। পদ্ম শিবিরের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ শান্তনু সেনের।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ অনুযায়ী, শুক্রবারই ত্রিপুরায় (Tripura) পৌঁছন বাংলার ৯ জন সাংসদ এবং এক মন্ত্রী। শনিবার তাঁদের সাংবাদিক বৈঠক করার কথা ছিল। তবে শুক্রবার রাত পর্যন্ত হোটেলে সাংবাদিক বৈঠকের প্রশাসনিক অনুমতি পায়নি তৃণমূল। হোটেলের বাইরে দাঁড়িয়েই সাংবাদিক বৈঠক করবেন বলেই স্থির করে বাংলার শাসকদল। তবে শেষ মুহূর্তে হোটেলে সাংবাদিক বৈঠকের অনুমতি মেলে। তারপর ত্রিপুরার হোটেলে বসেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ব্রাত্য বসু, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, শান্তনু সেন বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন।
[আরও পড়ুন: Indian Railways: ফেলে আসা সময়কে ধরে রাখল রেল! মলাটবন্দি পাঁচটি প্রাচীন টাইম টেবিল]
বাংলার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) বলেন, “বাংলায় বিপুল ভোটে হারার পর প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে ত্রিপুরায় তৃণমূলের উপর অত্যাচার করছে বিজেপি। মমতা বন্দ্যোাধ্যায়কে ধমকিয়ে চমকিয়ে ভয় দেখানো যাবে না। ত্রিপুরার উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করবে তৃণমূল।” সিপিএম নেতা-কর্মীরাই বা কেন তৃণমূল নেতৃত্বের হেনস্তার প্রতিবাদে সরব হচ্ছেন না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন ব্রাত্য। সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার (Kakali Ghosh Dastidar) ত্রিপুরার নারী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর দাবি, “বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রিপুরায় মহিলাদের ভয় দেখানো হচ্ছে।” ছাত্রছাত্রীদের উপর পুলিশি হেনস্তার প্রতিবাদেও সুর চড়ান তিনি। কর্মহীন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আন্দোলন জারি রাখার বিষয়েও সওয়াল করেছেন তৃণমূল সাংসদ। আন্দোলনকারীদের পাশে তৃণমূল রয়েছে বলেও আশ্বাস তাঁর। শান্তনু সেনও (Shantanu Sen) এদিন সাংবাদিক বৈঠকে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগে সরব। তাঁর দাবি, কোভিডবিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ (Abhishek Banerjee) তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়েছে ত্রিপুরার বিপ্লব দেবের (Biplab Deb) সরকার। তা সত্ত্বেও কেন ত্রিপুরায় থানার সামনে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের জমায়েত এবং রাজনৈতিক কর্মসূচিতে কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে না, সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি। বিজেপির দ্বিচারিতা ত্রিপুরাবাসী মেনে নেবেন না বলেও দাবি তাঁর।