ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: কারও বয়স সত্তরের কোঠায়। কোনও ওয়ার্ড মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে জনা ছয়েক কাউন্সিলরের। সব মিলিয়ে সংখ্যাটা চল্লিশের কাছাকাছি। কলকাতা পুরসভার (KMC) ভোটে এই সমস্ত ওয়ার্ডে নতুন মুখ খুঁজতে যুব সম্প্রদায়কে গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব। একইভাবে হাওড়া পুরসভায় প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও এক নীতি নিচ্ছে তৃণমূল, এমনই খবর দলীয় সূত্রে।
দুর্নীতি ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তি তো বটেই, পুর পরিষেবার কাজ বুঝবে, দ্রুত সেসব কাজ বাস্তবায়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে – পুরলড়াইয়ের (Municipal Election) ময়দানে এমন মুখই চাইছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। স্বচ্ছতার সঙ্গে দ্রুত কাজ, তার সঙ্গে অভিজ্ঞতা – এই দুইয়ের মিশেলে এবার কাজ করতে চাইছে দল। যুব সম্প্রদায়কে গুরুত্ব দিতে যুব সংগঠনের পাশাপাশি ছাত্র রাজনীতি করে উঠে আসা নেতৃত্বের নামও রয়েছে সম্ভাব্য তালিকায়।
[আরও পড়ুন: নারদ মামলা: অন্তর্বর্তী জামিন নিতে আদালতে শোভনের সঙ্গে বৈশাখী, জামিন ফিরহাদ-মদনেরও]
এক্ষেত্রে আরও একটি বিষয় সামনে এসেছে। মহিলাদের জন্য যত আসন সংরক্ষিত, তার থেকেও বেশি আসনে মহিলা প্রার্থীদের যোগদান চেয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নিজে। তার প্রস্তুতিও নেওয়া চলছে। মনে করা হচ্ছে, তালিকায় একাধিক চমক থাকবে। চূড়ান্ত তালিকা অবশ্য তৈরি হবে তৃণমূল নেত্রীর নির্দেশেই। ইতিমধ্যে তৃণমূল নেতৃত্ব দফায় দফায় এ নিয়ে বৈঠক সেরেছে। প্রার্থী নিয়ে আলোচনা সেরে কীভাবে ভোট হবে, তারও বিশ্লেষণ হয়েছে নানা স্তরে। আই প্যাক গত কয়েক মাসে কয়েক দফায় সমীক্ষা চালিয়েছে। সেই রিপোর্ট স্বাভাবিকভাবেই গুরুত্ব পাবে। কোন প্রার্থী নিয়ে সমাজে কেমন প্রতিক্রিয়া, কার নামে অভিযোগের আঙুল উঠেছে গত পাঁচ বছরে, সেসবই খতিয়ে দেখা চলছে।
[আরও পড়ুন: তিনদিনের দিল্লি সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে়
ভোট আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা হলেই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করার জন্য প্রস্তুত তৃণমূল। তার আগেই অবশ্য আগামী দিনে কয়েক দফায় ওয়ার্ডভিত্তিক ছোট ছোট সভা শুরু করে দেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে। অভিজ্ঞতার সঙ্গে যুব সম্প্রদায়ের মিশেলে প্রার্থীতালিকা তৈরির বিষয়টি সুদূরপ্রসারী ভাবনা থেকেই বলে জানিয়েছেন দলের এক শীর্ষ নেতা। তাঁর কথায়, “দলে আগামী প্রজন্ম এগিয়ে এসে কাজ করবে, এটাই স্বাভাবিক। নেত্রী সবসময় ছাত্র ও যুব সমাজকে উৎসাহ দেন। প্রার্থী বাছাইয়ের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই দলে কাউকে ধরে প্রার্থী হওয়া যায় না। কে কেমন কাজ করছেন, তার ভিত্তিতেই প্রার্থী নির্ধারিত হন। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না।”