ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: রাজ্যের বকেয়া ১০৮টি পুরসভার ভোটে তৃণমূলের প্রার্থীতালিকা (TMC Candidate List) নিয়ে চূড়ান্ত বিভ্রান্তি। দলের তরফে দাবি, ভুয়ো লিস্ট ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। প্রার্থীতালিকা ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফের তা বদল করা হয়। সূত্রের খবর, মাত্র ২০ শতাংশ বদল করা হয়েছে নতুন প্রার্থীতালিকায়। ইতিমধ্যেই তা জেলায় জেলায় পাঠিয়েও দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার বিকালে বকেয়া পুরভোটে তৃণমূলের প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। তিনি জানান, সুব্রত বক্সি, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ফিরহাদ হাকিম-সহ দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমপক্ষে ৩ হাজার প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করা হয়। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী তালিকায় অনুমোদন দিয়েছেন। তালিকায় নাম নেই কোনও বিধায়কের। একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তিকেও দেওয়া হয়নি টিকিট। তালিকায় জেলায় জেলায় তা পাঠিয়েও দেওয়া হয়। তবে তালিকা প্রকাশের পরই জেলায় জেলায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন দলীয় কর্মী-সমর্থকরা। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়, প্রার্থীতালিকা পছন্দ না হওয়ায় বিক্ষোভ। তা নজরে আসে তৃণমূল নেতৃত্বেরও।
[আরও পড়ুন: WB Civic Polls 2022: প্রচারের সময়সীমা বদল, পুরভোটের আগে নয়া নির্দেশিকা কমিশনের]
সূত্রের খবর, এরপরই বৈঠকে বসে তৃণমূল নেতৃত্ব। বৈঠকের পর তৃণমূল নেতৃত্ব জানায়, দু’রকমের প্রার্থীতালিকা ভাইরাল হয়েছে। একটি তালিকায় দলের শীর্ষনেতৃত্বের কারও সই নেই। ভাইরাল অপর প্রার্থী তালিকায় সই রয়েছে ঠিকই। তবে তাতে নেই কোনও তারিখের উল্লেখ। এই দুই তালিকাই ভুয়ো বলে জানানো হয়েছে। শাসক শিবিরের দাবি, “শীর্ষ নেতৃত্বের সই করা প্রকৃত তালিকা বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয়েছে।” তবে কীভাবে ভুয়ো তালিকা ভাইরাল হল, তা শাসক শিবিরের তরফে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়ার উলুবেড়িয়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বর্ধমান, বীরভূমের মোট ১০৮টি পুরসভায় ভোট। ৯ ফেব্রুয়ারি মনোনয়ন জমার শেষ দিন। ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করা যাবে মনোনয়ন প্রত্যাহার। কবে ফলপ্রকাশ হবে তা এখনও ঘোষণা হয়নি।