দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: কৃষকদের ক্ষতিপূরণ-সহ সাত দফা দাবিতে ৭২ ঘণ্টা সিঙ্গুরে ধরনায় বসেছিল বিজেপি। সেই কর্মসূচি শেষ হতেই ধরনাস্থল শুদ্ধিকরণে শামিল তৃণমূল। নেতৃত্বে মন্ত্রী বেচারাম মান্না। এবিষয়ে এখনও বিজেপির কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
সারের ন্যায্য দাম, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ-সহ সাত দফা দাবিতে গত মঙ্গলবার থেকে সিঙ্গুরের গোপালনগরে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের পাশে ধরনায় বসে বিজেপি। শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষদের পাশাপাশি সেখানে ছিলেন কিষান মোর্চার সভাপতি মহাদেব সরকার, অগ্নিমিত্রা পাল, রাহুল সিনহা, অশোক দিন্দা-সহ রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলে সেই ধরনা। বিজেপির কর্মসূচি শেষ হতেই শুদ্ধিকরণে শামিল তৃণমূল।
[আরও পড়ুন: ট্রেন বাতিলের জেরে বিক্ষোভে নিত্যযাত্রীরা, তীব্র উত্তেজনা তালান্ডু স্টেশনে]
ঠিক যেখানে বিজেপি কর্মসূচি করেছিল শুক্রবার সকালে সেখানেই নজরে পড়ে একাধিক পোস্টার। তাতে স্পষ্ট লেখা শুদ্ধিকরণের বিষয়টি। এদিন সকাল থেকেই লেবু, লঙ্কা, ঝাঁটা, গোবর নিয়ে সেখানে হাজির হন মহিলারা। ওই এলাকা ঝাড়ু দেন মহিলারা। গোবর দিয়ে চলে শুদ্ধিকরণ। এবিষয়ে বেচারাম মান্না বলেন, “সিঙ্গুরের মাটি আন্দোলনের মাটি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াইয়ের সাক্ষী। ধরনার মাধ্যমে সেই মাটিকে অশুদ্ধ করেছে বিজেপি। সেই কারণেই এই শুদ্ধিকরণ অভিযান করা হচ্ছে।”
উল্লেখ্য, এবার নতুন করে বাংলায় নিজেদের পায়ের নিচের মাটি শক্ত করতে সিঙ্গুরকে বেছে নিয়েছে বিজেপি (BJP)। দলের তরফে বিশেষ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। ১৪ থেকে ১৬ ডিসেম্বর তা চলে। যদিও সেই কর্মসূচি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। প্রস্তুতি শুরু হলেও পুলিশের অনুমতি মিলছিল না। মঞ্চ বাঁধতে গিয়ে বাধা পেয়েছিলেন বিজেপি কর্মীরা। মঙ্গলবার অবশেষে শর্তসাপেক্ষে মঞ্চ বাঁধার অনুমতি মেলে। প্রথমদিকে এই কর্মসূচিতে স্থানীয় সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিত থাকার কথা জানা গেলেও পরবর্তীতে জানা গিয়েছে, তিনি থাকবেন না। নিজের এলাকায় দলের কর্মসূচিতে সাংসদের অনুপস্থিতি স্বাভাবিকভাবেই একাধিক প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।