ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: সরস্বতী পুজো (Saraswati Puja) মানেই খুদেদের হাতেখড়ি। যদিও করোনা আবহে ইদানিং ভারচুয়াল (Virtual) হাতেখড়িও হয়ে থাকে। কম্পিউটার স্ক্রিনে পুরোহিতের মন্ত্রোচ্চারণ, আর এপারে পরিবারের কেউ বাড়ির খুদে সদস্যটির হাত ধরে অ-আ লেখাচ্ছেন, এমন দৃশ্য আজকাল আর বিরল নয়। কিন্তু এসবের মাঝে সাবেকি হাতেখড়ির মহিমা যেন আলাদা। সেই সাবেকি প্রথাতেই এবার হাতেখড়ি হয়ে গেল তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)ছেলের। শনিবার, সরস্বতী পুজোর দিন তাঁর বাড়িতে স্লেট-পেন্সিলে অ-আ-ক-খ লিখে অক্ষর চিনতে শিখল খুদে আয়াংশ। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন অভিষেক নিজেই। পাশাপাশি রাজ্যের সব পড়ুয়াকে সরস্বতী পুজোর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
এদিন ফেসবুকে (Facebook) ছেলের হাতেখড়ির একাধিক ছবি পোস্ট করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতে দেখা গিয়েছে, ছেলে আয়াংশের হাতেখড়িতে হাজির বাড়ির সব সদস্য। মা লতা, স্ত্রী রুজিরা, মেয়ে আজানিয়া – সকলেই শামিল সরস্বতী পুজোয়। ছোট্ট আয়াংশের পরনে সাদা পোশাক। অভিষেক-রুজিরাও সাদা পোশাক পরেছেন। সরস্বতী পুজোর সঙ্গে মিল রেখে আজানিয়া পরেছে হলুদ রঙের জামা। সকলের মুখ আনন্দে উজ্জ্বল। বোঝাই যাচ্ছে, ছেলের হাতেখড়ি উপলক্ষে অভিষেকের পরিবারে খুশির হাওয়া।
[আরও পড়ুন: ফের বেপরোয়া গাড়ির দৌরাত্ম্য, কাঁকুড়গাছিতে ম্যাটাডোরের চাকায় পিষ্ট মহিলা]
ইদানিং রাজনৈতিক জগতে অভিষেকের দায়িত্ব বেড়েছে অনেকটাই। সাংসদ ছাড়াও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের ভার তাঁর কাঁধে। নানা সময় এদিক-ওদিক ছোটাছুটি লেগেই থাকে তাঁর। তারই মাঝে পরিবারকে যথেষ্ট সময় দিয়ে থাকেন অভিষেক। বিশেষত বছরের উৎসবের দিনগুলিতে অভিষেককে পরিবার থেকে দূরে থাকতে দেখা যায়নি তেমন। সরস্বতী পুজোতেও তার ব্যতিক্রম হল না। তার উপর এবার ছেলের হাতেখড়ি বলে কথা, থাকতে তো হবেই তাঁকে।
[আরও পড়ুন: ‘আমাকে মন থেকে ভালবাসো’, শোভনের সঙ্গে ‘রোম্যান্টিক’ মুডে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়]
তবে শুধু নিজের পরিবারই নয়, এই বিশেষ দিনে অভিষেক সমস্ত পড়ুয়াদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ফেসবুক পোস্টে। লিখেছেন, ”বিদ্যা-বুদ্ধি, সঙ্গীত-শিল্পকলার অধিষ্ঠাত্রী দেবী মা সরস্বতী। শিক্ষার্থীদের জন্য তাই আজকের দিনটি বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। বসন্ত পঞ্চমীর পুণ্যলগ্নে আজ বাগদেবীর আরাধনায় ব্রতী হয়েছিলাম। দেবীর স্নেহাশিসে বাংলা তথা দেশের সকল বিদ্যার্থীর ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হয়ে উঠুক। প্রকৃত জ্ঞানের আলোকে ধুয়ে যাক মনের সকল মলিনতা, দীনতা। সমস্ত রকম সংকীর্ণতার অচলায়তন ভেঙে সমাজের প্রতি আরও দায়বদ্ধ হয়ে উঠুক তারা – এই কামনা করি। সকল শিল্পীর প্রতিভা বিকশিত হোক, দ্যুতি ছড়াক দেশ-বিদেশে। রাজ্য তথা দেশবাসীর মঙ্গলকামনায় আজ প্রার্থনা করলাম মায়ের কাছে। আরাধনার কিছু উজ্জ্বল মুহূর্ত।”