সন্দীপ চক্রবর্তী, ত্রিপুরা: সর্বভারতীয় রাজনীতিতে শক্তি বাড়াতে তৃণমূল কংগ্রেস যে বাংলার বাইরে প্রথম রাজ্য হিসাবে ত্রিপুরাকেই টার্গেট করেছে, তা গত কয়েকদিনে অনেকটাই স্পষ্ট। আর সেই উদ্দেশ্য নিয়েই সোমবার ত্রিপুরা পৌঁছে যান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। ঠিক ছিল ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিয়েই বাকি কর্মসূচিতে পা বাড়াবেন। কিন্তু তার আগেই শুরু হয়ে যায় বিক্ষোভ। অভিযোগ, অভিষেকের কনভয়ে হামলা চালান বিজেপি সমর্থকরা। ওঠে ‘গো ব্যাক’ স্লোগানও।
তৃণমূলের তরফে অভিযোগ, যাত্রাপথে দফায় দফায় বিক্ষোভের মুখে পড়ে অভিষেকের কনভয়। একাধিক জায়গায় পথ আটকানো হয়। লাঠি দিয়ে গাড়িতে মারা হয়। এমনকী বিশ্রামগঞ্জে ভেঙে দেওয়া হয় গাড়ির কাচ। ওঠে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। এই ঘটনার ভিডিও ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে ট্যাগ করে টুইটও করেন অভিষেক। তিনি লেখেন, “বিজেপির আমলে ত্রিপুরার গণতন্ত্র! রাজ্যকে নয়া উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিপ্লব দেবকে ধন্যবাদ।”
[আরও পড়ুন: মিজোরামের সঙ্গে তুঙ্গে সংঘাত, সমস্যা সমাধানে অসমের সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর]
ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে যাওয়ার আগে বারবারই বাধা পান অভিষেক। বেলা ১২টা নাগাদ মন্দিরে পৌঁছনোর কথা থাকলেও লাগাতার পথ অবরোধের জেরে গন্তব্যে পৌঁছতে বেশ খানিকটা দেরি হয় অভিষেকের। দুপুর ১.২৫ নাগাদ মন্দিরে পৌঁছে পুজো দেন তিনি। মন্দির চত্বরেও ছিল তৃণমূল (TMC) ও বিজেপি (BJP) সমর্থকদের ভিড়। গেরুয়া সমর্থকদের মুখে ‘গো ব্যাক’ ধ্বনির পালটা দিয়ে তৃণমূল ‘খেলা হবে’ স্লোগান দেয়। দু’দলের স্লোগান, পালটা স্লোগানে সরগরম হয়ে ওঠে মন্দির চত্বর। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
যেভাবে ত্রিপুরাতে পা রেখেই বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল, তাতে ত্রিপুরা সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে ছাড়েননি ক্ষুব্ধ অভিষেক। কটাক্ষের সুরে বলে দেন, “কথায় বলে অতিথি দেব ভব। তার নমুনা দেখলাম ত্রিপুরায় এসেই। বিজেপি বারবার বলে বাংলায় গণতন্ত্র নেই। এই রাজ্যে কী হচ্ছে আগে সেটা দেখুক।”