রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: মাত্র ১৭ দিনেই বহু বছরের সমস্যার সমাধান। সৌজন্যে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। আগের বার আলিপুরদুয়ারে এসে সমস্যার কথা শুনেছিলেন তিনি। জনসংযোগ যাত্রার শুরুতেই সেই সমস্যার সমাধান করে দিলেন তিনি।
জানা গিয়েছে, আলিপুরদূয়ার পুরসভার ১৬, ১৭ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিস্তীর্ণ এলাকা রেল লাইনের পূর্ব পাশে থাকা কয়েক হাজার পরিবারের বিদ্যুতের সংযোগ কামাখ্যাগুড়ি গ্রামীণ বিদ্যুৎ ফিডার থেকে দেওয়া হয়েছিল। শহরের এলাকা হওয়া সত্ত্বেও গ্রামীণ বিদ্যুতের ফিডার থেকে সংযোগ দেওয়ায় লো ভোল্টেজের সমস্যা ছিল নিত্যদিনের। ওই এলাকার পথবাতির হালও খুব খারাপ ছিল। বিদ্যুৎ বিভ্রাট লেগেই থাকত। ওই এলাকাতেই আলিপুরদয়ার শহরের একমাত্র বৈদ্যুতিন চুল্লির শ্মশান। গ্রামীণ ফিডার থেকে ওই শ্মশানের চুল্লিতে বিদ্যুৎ সংযোগ থাকায় মাঝেমধ্যেই শ্মশানে লো ভোল্টেজের সমস্যা হত। লো ভোল্টেজের কারণে শ্মশানের যন্ত্রাংশও মাঝে মধ্যে বিকল হয়ে যেত। আর এর ফলে আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও অসম থেকেও মানুষজন মরদেহ দাহ করতে এসে সমস্যায় পড়তেন। বারবার বলার পরেও সমস্যার সমাধান হয়নি। শেষে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৎপরতায় মঙ্গলবার থেকে এই সমস্যার সমাধান হয়ে গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: মহাত্মা গান্ধীর স্বপ্নের পঞ্চায়েত গড়াই লক্ষ্য! জনসংযোগ যাত্রায় বললেন অভিষেক]
জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ার শহরের বিদ্যুৎ ফিডার থেকে ওই এলাকায় সংযোগ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর জন্য রেলের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অনুমতি নিয়ে রেললাইনের তলা দিয়ে বিদ্যুতের তার নিয়ে গিয়ে রেললাইনের ওপারে থাকা এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছে আলিপুরদুয়ার বিদ্যুৎ দপ্তর। বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানির আলিপুরদুয়ারের ডিভিশনাল ম্যানেজার অংশুমান সরকার বলেন, “মঙ্গলবার থেকে টাউন ফিডার থেকে আমরা রেল লাইনের পূর্ব দিকের অংশের সংযোগ দিয়ে দিয়েছি। এই কাজের জন্য রেলের প্রয়োজনীয় অনুমতি নিয়ে রেল লাইনের নিচ দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগের তার নিয়ে রেল লাইন পারাপার করা হয়েছে। এর ফলে ওই এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবার মান অনেক উন্নত হয়ে যাবে। আমরা দীর্ঘদিন থেকে এই ব্যবস্থা করার চেষ্টায় ছিলাম। অবশেষে তা সম্পূর্ন হল।”
জানা গিয়েছে, ৮ এপ্রিল আলিপুরদুয়ারে সভা করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই সভাতে বিষয়টি তাঁর নজরে আনেন আলিপুরদুয়ার পুরসভার চেয়ারম্যান বাবলু কর। সেসময় বাবলু করের সাথে আলিপুরদুয়ার পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাম্পি অধিকারী, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দিবাকর পাল ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুষ্মিতা রাহা দাসও ছিলেন। আলিপুরদুয়ার পুর প্রতিনিধিদের কথা সেদিন মন দিয়ে শুনেছিলেন অভিষেক। ওই সভার ১৭ দিনের মাথায় সমস্যা সমাধান হয়ে গেল। এ প্রসঙ্গে বাবলু কর বলেন, “৮ এপ্রিল আমরা বাবুরহাটে আমাদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে শহরের এই সমস্যার কথা জানিয়েছিলাম। তিনি সেই সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করায় মঙ্গলবার থেকে সমস্যার সমাধান হয়ে গিয়েছে। আমরা এই কাজের জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিদ্যুৎ দপ্তরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ”