বাবুল হক, মালদহ: দশমীর রাতে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা! অভিযুক্ত এবার যুব তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি। নির্যাতিতাকে গুরুতর অবস্থায় মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত যুব তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে তড়িঘড়ি গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় মালদহের বৈষ্ণবনগর থানা এলাকায়। চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলেও।
অভিযোগ, রবিবার গ্রামের এক মাঠে নিয়ে গিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে প্রতিবেশী ওই যুবক। ঘটনা ঘিরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। রাতেই পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। এই ঘটনার পর যথারীতি ময়দানে নেমে পড়ে গেরুয়া শিবির। এদিন বৈষ্ণবনগর থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। তাঁদের অভিযোগ, অভিযুক্ত যুবক যুব তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি হওয়ায় পুলিশ ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। যদিও ঘটনার সঙ্গে রাজনীতি নেই বলে দাবি করেছে তৃণমূল।
মালদহ জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি বিশ্বজিৎ মণ্ডল বলেন, "এখানে দলের কোনও ব্যাপার নেই। আইন আইনের পথে চলবে।" মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, "পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষণের চেষ্টার মামলা রজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। গ্রামে উত্তেজনা ছড়ালে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছে।" নির্যাতিতার জবানবন্দি রেকর্ড করেছে পুলিশ। অভিযোগ, গ্রামে পুজো উপলক্ষে নাটকের আয়োজন করা হয়। সেই নাটক দেখতে বাড়ি থেকে একাই বেরিয়েছিল মেয়েটি। সেই সময় মেয়েটিকে গ্রামের মাঠে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে ওই যুব নেতা। সঙ্গে একজন পঞ্চায়েত সদস্যও ছিল বলে অভিযোগ। লোকজন দেখে ফেলায় হইচই হতেই অভিযুক্ত পালিয়ে যায়। অচৈতন্য অবস্থায় নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।