ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: বুধবার দুপুরে এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডের সাড়ে ১২ নম্বর কেবিনে ভরতি হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। তারপর সরানো হয়েছে অন্য কেবিনে। এখন স্থিতিশীল কেষ্ট। ইংরেজ আমলের এই হাসপাতালের কেবিন নম্বর সাড়ে ১২ শুনে অবাক হয়েছেন নিশ্চয়ই, জানেন কী কেন এমন নম্বর?
ব্রিটিশ আমলে তৈরি হয়েছিল এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ড। সেই সময়ই ১২ নম্বর কেবিনের পর তৈরি করা হয়েছিল সাড়ে ১২। কারণ, স্রেফ আনলাকি থার্টিন! তারপর গোটা ছবিটাই বদলে গিয়েছে কিন্তু উডবার্ন ওয়ার্ডে আজও ১২ নম্বর কেবিনের পর রয়েছে সাড়ে ১২ নম্বর। আর তারপর ১৪! আর ১২ নম্বর কেবিনেও রয়েছে বিশেষত্ব। এই কেবিনটি একেবারেই ভিভিআইপিদের জন্য বরাদ্দ। চাইলেই যে কেউ সেই ওয়ার্ডে থাকতে পারেন না। তবে বর্তমানে সাড়ে ১২ নম্বর কেবিন থেকে সরানো হয়েছে অনুব্রতকে। বর্তমানে তিনি রয়েছেন ২১১ নম্বরে।
[আরও পড়ুন: দুধের ছেলেকে নিয়ে পরপুরুষের সঙ্গে ঘর ছেড়েছিলেন, তিনমাস পর সেই বধূ ঘরে ফিরলেও ফিরল না শিশু]
গরুপাচার কাণ্ডে বুধবার নিজাম প্যালেসে সিবিআই দপ্তরে যাওয়ার কথা ছিল অনুব্রতর (Anubrata Mandal)। তবে চিনার পার্কের বাড়ি থেকে বেরিয়ে সোজা এসএসকেএম হাসপাতালে যান তিনি। গতকাল, মঙ্গলবার রাত থেকেই পেটের সমস্যায় ভুগছিলেন। সেই কারণে এদিন এসএসকেএমে আসেন। ৮ সদস্যের মেডিক্যাল টিম প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে তাঁর একাধিক শারীরিক পরীক্ষা করে। তারপরই তাঁকে ভরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যতদিন না তিনি সুস্থ হচ্ছেন, ততদিন হাসপাতালেই কাটাতে হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, বর্তমানে অক্সিজেন চলছে অনুব্রতর। চিকিৎসদের কথায়, মানসিক চাপের কারণেই এই পরিস্থিতি তৃণমূল নেতার।
উল্লেখ্য, সকালেই ডা. সৌমিত্র ঘোষ, ডা. দিলীপ পাল-সহ মেডিক্যাল টিমের সদস্যরা মিলে অনুব্রতর ইসিজি, এক্স-রে, রক্তের একাধিক পরীক্ষা করেন। জানা গিয়েছিল, তাঁর হার্টে সামান্য ত্রুটি ছিল। লিভারের সমস্যাও ফের মাথাচাড়া দিয়েছিল।