সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গরুপাচার কাণ্ডে সিবিআইয়ের মুখোমুখি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দপ্তরে চিঠি দিয়ে সাক্ষাতের ইচ্ছাপ্রকাশ করেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৫০ মিনিট নাগাদ তৃণমূল নেতা নিজাম প্যালেসে পৌঁছন।
উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল গরু পাচার মামলায় হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল অনুব্রতর। সেই মতো ঠিক তার আগের দিনই কলকাতায় চলে আসেন তৃণমূল নেতা। ৬ তারিখ নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে যাওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালে ভরতি হন। একাধিক শারীরিক সমস্যা ছিল তাঁর। টানা ১৭ দিন ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলেন বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা। চিকিৎসকদের পরামর্শমতো চিনার পার্কের ফ্ল্যাটেই বিশ্রামে ছিলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: নথি নষ্টের আশঙ্কা, হাই কোর্টের নির্দেশে আজ দুপুর পর্যন্ত এসএসসির দপ্তর পাহারায় CRPF]
তারই মাঝে একাধিকবার সিবিআইয়ের (CBI) তদন্তকারী আধিকারিকদের কাছে আইনজীবী মারফৎ লম্বা চিঠি পাঠান দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা। জানান, ২১ মে’র পর তিনি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রস্তুত। তবে নির্দিষ্ট ডেডলাইন শেষ হওয়ার আগেই বুধবার সিবিআই দপ্তরে ফের আইনজীবী মারফৎ চিঠি পাঠান অনুব্রত। গরুপাচার কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদে রাজি হন তিনি। সেই মতো বীরভূমের তৃণমূল নেতাকে সময় দেয় সিবিআই। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটার মধ্যে নিজাম প্যালেসে হাজিরার কথা ছিল। সকাল ৯টা ৫০ মিনিট নাগাদ চিনার পার্কের বাড়ি থেকে নিজাম প্যালেসে এসে পৌঁছন তিনি।
এসএসসি মামলায় বুধবার সিবিআইয়ের মুখোমুখি হন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। টানা সাড়ে ৩ ঘণ্টা তাঁকে জেরা করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। তার পরেরদিনই সিবিআইয়ের কাছে হাজিরা দিলেন অনুব্রত মণ্ডল। বীরভূমের তৃণমূল নেতাকে সিবিআই কী কী প্রশ্ন করে, তার পালটা কী উত্তর দেন অনুব্রত, তাও ভাবাচ্ছে সকলকে। অনুব্রতকে জেরার পর গরুপাচার কাণ্ডের তদন্তে নানা জট খুলতে পারে বলেই আশা তদন্তকারীদের।